অহিদুজ্জামান খান : বুধবার ১৯ মার্চ সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধীনস্থ পদ্মশাখরা, ভোমরা, গাজীপুর, ঘোনা, কুশখালী, তলুইগাছা ও কাকডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৩ বোতল ফেনসিডিলসহ চার লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এর ৭ আরবি হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন বাঘাডাঙ্গা নামক স্থান হতে ৯,২০০/-টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেনসিডিল আটক করে। পদ্মশাখরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১/২২ এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন বেড়িবাধ নামক স্থান হতে ১,০৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৩/৩ এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লক্ষীদাড়ি নামক স্থান হতে ৩০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। গাজীপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৫/১৪ এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নুর মোহাম্মদের ঘের নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
ঘোনা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার-৭ হতে আনুমানিক ২ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাপিতঘাটা নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। কুশখালী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১১/৪ এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুশখালী নামক স্থান হতে ২৮,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে।
তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১২/৬ এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কামারবাড়ি নামক স্থান হতে ৩০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। এছাড়াও, কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক তিনটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এর ৪ ও ৭ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০-৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন ভাদিয়ালী ও কেড়াগাছি নামক স্থান হতে ৬০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। সর্বমোট ৪,০২,২০০/ (চার লক্ষ দুই হাজার দুইশত) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে। চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়।
এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে। দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।