শ্যামনগর প্রতিনিধি : পানি আমাদের জীবনের অন্যতম মৌলিক উপাদান। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। উপকূলে পানির অভাব নেই। কিন্তু সুপেয় পানির অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত সুপেয় পানির জন্য সংগ্রাম করতে হয় উপকূলের নারীদের। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২.২ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। ২২ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস ২০২৫।
প্রতি বছরের মতো এবারও জাতিসংঘের আহ্বানে এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে, যার মূল প্রতিপাদ্য “পানির মূল্য বুঝুন, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করুন”। বাংলাদেশেও সুপেয় পানির সংকট একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল ও শহরাঞ্চলে নিরাপদ পানির সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় আরও সচেতনতা প্রয়োজন। সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই দিবসটি পালন করেছে। বারসিকের সহায়তায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের মুন্সিগঞ্জ কুলতলীতে শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১২ টায় যুব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি, সবুজ সংহতি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আয়োজনে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের পানির অধিকার নিশ্চিতকরণে করণীয় শীর্ষক জনমতামত অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা, র্যালি এবং সচেতনতামূলক এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কুলতলী কৃষক সংগঠন এর সভাপতি সুজিত সরদার। আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিক এর সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সবুজ সংহতি’র সদস্য সরমা রানী, সুজাতা রানী, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম মুন্সিগঞ্জ ইউনিটের সভাপতি গৌতম মন্ডল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত অতিরিক্ত পানি অপচয় রোধ করা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা এবং দূষণ কমানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সচেতন হোন, পানি সংরক্ষণ করুন—পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুন। উপকূলীয় অঞ্চলে পানির গুরুত্ব বোঝাতে এই বিশেষ কর্মশালায় সঞ্চালনা করেন বারসিক এর কর্মসূচী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মন্ডল।
