কুলিয়া প্রতিনিধি : আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য নির্মিত টয়লেট এর ছামসেট যুক্ত লিংন্টন নির্মাণের কয়েকদিন পর ভেঙে পড়েছে। সরজমিনে যেয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার আলিপুর হাটখোলা দক্ষিণ আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য পি ডি পি-৪, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী থেকে টয়লেট নির্মাণের বাজেট হয়।
বর্তমানে টয়লেটের কাজটি চলমান। উক্ত টয়লেটের পিলিয়ার দিয়া ছাদ নির্মাণ ও মেঝের কাজটি শেষ হয়েছে। টয়লেটের চারি পাশ্বের দেওয়ালের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ছাদের নিচে টয়লেটের চারিপাশ্বে ছামসেট যুক্ত লিংন্টনের কাজ কয়েকদিন আগে শেষ করেছে। ২২ মার্চ শনিবার সকালে আলিপুর হাটখোলার সবজি ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন উক্ত ছামসেটে হাত দিয়ে দেখতে গেলে ভেঙে পড়ে।
সেই সময় টয়লেটের দেওয়ালের গাথার কাজ চলছিল, ছামসেট ভেঙে পড়ার সাথে সাথে হাটের ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। তখন ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হলে তারা ছামসেট নির্মাণের কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ছামসেটটি খালি হাত দিয়ে চাপ দিলে ভেঙে যাচ্ছে, হাত দিয়ে চাপ দিলে খোয়া,বালি,সিমেন্ট গুড়া হয়ে যাচ্ছে। তখন উক্ত কাজের ঠিকাদারের প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ ও নির্মাণ কাজের হেড মিস্ত্রি শরিফুল সহ অন্যান্য মিস্তিরা হাটের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়ে।
এব্যাপারে কাজের ঠিকাদার বকুল সাহেবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমিতো সব কাজ করার সময়ে থাকতে পারিনা, তবে খারাপ কিছু হলে উক্ত ছামসেট ভেঙে পুনরায় ভালো করে কাজটি করা হবে। তারপর ঠিকাদারের কথা অনুযায়ী তাদের লোকজন দিয়ে সদ্য নির্মিত লিংন্টন ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ পারভীন জানান, রোজার সময় কাজ করার কথা ছিল না। রোজার সময় বলে আমরা উক্ত কাজটি নিজেরা দেখে নিতে পারিনি। তবে অন্য কাজ গুলো ভালো করেছে। স্হানীয় ইউপি সদস্য আত্তাবুজ্জামান টুটুল কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিংন্টনের কাজটি আমি দেখেছি ভালো হয়নি,তবে আমি উক্ত কাজের ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন আমার লোকজনদের ওইটা ভেঙে পুনরায় ভালো করে লিংন্টনের কাজ করার জন্য বলে দিয়াছি।