কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এদেশে গৌরবোজ্জ্বল এই দিনে বাঙালি জাতী গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্যাতিতা মা-বোনদের, যাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজের পতাকা। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার পূর্ব আকাশে রক্ত লাল হয়ে উদিত হয়েছিল একটি নতুন সূর্য। বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিলো বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ আমরা পেয়েছিলাম একটি পতাকা।
কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (২৬শে মার্চ) দিনের শুরুতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। উপজেলার সকল সরকারি, অধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী পার্কের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন সরকারি, অধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারী সংগঠন, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, সাংবাদিক সংস্থাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কালিগঞ্জ থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব, মাওঃ আকরাম হুসাইন। পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন উপজেলা লেডিস ক্লাবের সম্পাদিকা ইলাদেবী মল্লিক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশেষ অতিথি প্যারেড মঞ্চে উপস্থিত হয়ে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড্ডয়ন করেন। এরপরে প্যারেড পরিদর্শন কুচকাওয়াজ উপভোগ করেণ অতিথিবৃন্দ। পরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে সুসজ্জিত প্যান্ডেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডলের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অমিত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুর রউপ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ডাঃ শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সেক্রেটারি সুকুমার দাশ বাচ্চু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসীম উদ্দীন, উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ শঙ্কর কুমার দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, উপজেলা ছাত্র সমন্বয়কের আহবায়ক আমির হামজা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা যিব উন্নমন কর্মকর্তা এসএম আকরাম হোসেন ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকগণ, ছাত্রছাত্রীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ সুধীজন।এদিন উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামন করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনা করা হয়। এতিমখান, থানা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।