আব্দুর রশিদ, ঈশ্বরীপুর (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : শ্যামনগরের উপজেলার ঈশ্বরীপুর ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ জলবদ্ধতা স্বীকার হয়ে থাকে। স্থানীয়রা জানান মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের আইবুড়ী নদীর চর অবৈধভাবে দখল করে ঘরবাড়ি দোকান ও উচু উচু বেড়ি দিয়ে পুকুর করে মৎস্য চাষ করে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। যার ফলে বর্ষার মৌসুমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ধান চাষ ও হাজার হাজার বিঘা মৎস্য চাষের ঘেরের ক্ষতি হয়।
অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় কালো টাকার বিনিময়ে নদীর চর দখলে সহযোগিতা করে। খালটি ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট, কেওড়াতলী, এবং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হেতালখালী, মক্তব ও কয়েকটি গ্রামের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ছিল। স্থানীয়দের দাবি এই খালটির চর দখল মুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়া। তাদের মতে, সরকারের কোন আইন অনুযায়ী এমন একটি খালের চর ব্যক্তি মালিকানায় নেয়ার কোনো আইনি বৈধতা নেই।
স্থানীয় মোঃ নুর ইসলাম মোল্লা ও শফিকুল ইসলাম তরফদার বলেন যে এই নদীর চরটি দখলমুক্ত হলে আমরা বর্ষার মৌসুমী জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতাম হাজার হাজার বিঘা মৎস ঘের পানিতে ডুবে যেত না ধান চাষের ক্ষতি হতো না এবং আমাদের বাড়িতে বর্ষার মৌসুমীর সবজি চাষের ক্ষতি হতো না।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হেতালখালী মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, আগে এই নদীটি অনেক চওড়া ছিল আর এখন নদীর দুইপাশে উচু উচু ভেড়ি করে পুকুর কেটে মাছ চাষ বাড়ি ঘর দোকান নির্মাণ হয়েছে যার ফলে নদীটি অনেক ছোট হয়ে গেছে। সে কারণে বর্ষার মৌসুমে নদীটির পানির ধারণক্ষমতা কমে যাওয়ায় বর্ষার মৌসুমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলবদ্ধতার কারণে বসত ভিটার সবজির ক্ষেত ধানের ক্ষেত ঘের ও পুকুরের হাজার হাজার টাকার চাষী মাছ নষ্ট হয়ে যায়।
এবিষয়ে শ্যামনগর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মদ রনি খাতুন বলেন, এই নদীর চরের বিষয়ে এর আগে আমাকে কেউ জানায়নি আপনি যেহেতু জানিয়েছেন আমি এই নদীর চরের বিষয়ে জেনে যে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন সে পদক্ষেপ নেব।