শাহ জাহান আলী মিটন : সাতক্ষীরায় ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘি ও দুধসহ দুই ভাইকে আটক করেছে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ । শনিবার (৫ এপ্রিল) সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামে রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ভেজাল ঘি, তরল দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির সরঞ্জামসহ ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরীর কাজে ব্যবহৃত নানান উপাদান জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। আটককৃত দু’জন হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের অশোক কুমার ঘোষের ছেলে কমল কুমার ঘোষ (৩৮) ও দিলীপ কুমার ঘোষ (৪৩)।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, ছোটকাল থেকে দুধের ব্যবসা থাকলেও গত সাত বছর যাবত ভেজাল ঘি ও দুধের কারবার করে আসছিল সদরের হাবাসপুর গ্রামের কমল ঘোষ ও তার ভাই দিলীপ ঘোষ। একপর্যায়ে তারা বাড়িতে একটি ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানা গড়ে তোলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ এই কারখানার সন্ধান পায়। উক্ত খবরের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে শনিবার রাত ৯টায় ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লিটার ভেজাল ঘি ও ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এছাড়া ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরীর কাজে ব্যবহৃত কস্টিক সোডা, পামওয়েল, সয়াবিন তেল, জেলি ও মেশিন জব্দ করা হয়। এসময় ভেজাল দুধের কারবারি কমল ও দিলীপ ঘোষ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তারা ৫০০ লিটার পরিমাণ দুধে ৫০০ গ্রাম পামওয়েল দেয়। এছাড়া সয়াবিন তেল ও এক ধরনের জেলি কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে। প্রতিদিন ৩-৪ শ’ লিটার দুধ ও আধা মন ঘি তৈরি হয় তাদের কারখানায়। দুধ পুরোটাই মিল্ক ভিটায় দেয়া হয় আর ঘি বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়।
কমল ঘোষ বলেন, ছোটকাল থেকে দুধের ব্যবসা করলেও গত পাঁচ-সাত বছর যাবত তারা এই ভেজাল কারবারে জড়িয়েছেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. নিজাম উদ্দীন মোল্লা জানান, আশাশুনি থানার সীমান্ত এলাকা ও সাতক্ষীরা সদরে ফিংড়ী ইউনিয়নে বহুদিন ধরে দুগ্ধজাত ভেজাল পণ্য ঘি ও দুধ তৈরি করে আসছিল কিছু অসাধু কারবারি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।