খান আতাউর রহমান লিটন, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : তালা পাটকেলঘাটায় ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের যে টসটসে মিষ্টিগুলো খায় তার ফ্যাক্টরি সম্পর্কে অনেকেরই কোন ধারনা নাই । তাদের এই পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ টা শাখা রয়েছে। তাদের মিষ্টির দাম বাজারের অন্যদের চাইতে অনেক বেশি নেওয়া হয়।
২৬ এপ্রিল (শনিবার) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যেখানে মিষ্টি তৈরি হয় সেখানে ছ্যাতসিতে অবস্থায় আছে। ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের ফ্যাক্টরির বজ্রপানির দুর্গন্ধ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। বছরের পর বছর এই মিষ্টির কারখানার পানি অপরিকল্পিতভাবে পার করছে। এই পানির দুর্গন্ধে এলাকার মানুষের বিভিন্ন রোগবালাই লেগেই থাকে। সর্বশেষ স্থানে পানি পৌঁছায় সেখানে একটি হাইস্কুল রয়েছে এই দুর্গন্ধের কারণে ছেলেমেয়েরা ঠিকমত ইস্কুলে যায় না।
আশেপাশে যেসব ঘরবাড়ি-দোকানপাট রয়েছে তাদের অনেকেই বলে আপনাদের মত অনেক লোক আসে ভিডিও করে চলে যায় কিন্তু আমাদের কোন প্রতিকার হয় না। হারুনা রশিদ কলেজের প্রভাষক মোঃ সুজায়ে আলী বলেন আমরা অনেক অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন সমাধান পাইনি। এই পানির দুর্গন্ধে আমরা বাসায় ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া চলাফেরা করতে পারিনা।
মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, আমার মেয়ে গর্ভবতী ছিল শুধু দুর্গন্ধের কারণে আমার বাসায় রাখতে পারি নাই। আমার বাড়ির আশেপাশে যেসব বাচ্চা-কাচ্চা রয়েছে তারা কোন না কোন রোগে ভুগতে থাকে।
হারুনা রশিদ কলেজের ইংরেজি প্রভাষক নাজমুল ইসলাম বলেন, পাশে আমার একটা কোচিং সেন্টার রয়েছে এই ভাগ্যকূল মিষ্টান্ন ভান্ডারের পঁচা পানির দুর্গন্ধে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কমে যেতে শুরু করছে। এছাড়াও আমার একটা পপুলার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে রোগীরাও এই দুর্গন্ধে এখানে থাকতে চায়না।
নাম বলতে অনিচ্ছু অনেক দোকানদার বলেন, আমাদের কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারিনা শিবু ঘোষ আমাদের পাশের দোকানদার কিন্তু দুর্গন্ধের কোন প্রতিকার করে না।
এ ব্যাপারে শিবু ঘোষের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি এই পানি গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে ফেলা যায় তার পরিকল্পনা করছি
। শিবু ঘোষের ছেলে আশিক ঘোষ উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনারা এখানে ভিডিও করার সাহস কুথাই পেলেন। আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়নি এমন কোন সাংবাদিক দেখিনা আমাদের কাছে সকল ভিডিও ফুটেজ আছে।
এ ব্যাপারে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মাসুদুর রহমান এর কাছে ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাসেল বলেন, আমি আমিনুন্নেছা স্কুলে গিয়েছিলাম সেখানেও দুর্গন্ধ পেয়েছি আমি প্রাথমিক নোটিশ করে দিচ্ছি।