বিলাল হোসেন, শ্যামনগর ব্যুরো : ৩ দিন পরে জিও টিউবের মাধ্যমে রিং বাঁধ দিয়ে রক্ষা পেল উপকূলের মানুষ। জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ হয়। শ্যামনগর উপকূলে নদী রক্ষা বেড়িবাঁধে শনিবার ভোরে বিপজ্জনক ফাটল দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে হঠাৎ করে ফাটল তৈরি হওয়ায় এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার হরিনগর ইউনিয়নের সিংহড়তলি গ্রামের চুনকুড়ি নদীর বেড়িবাঁধে হঠাৎ করে এই ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ ১ এর আওতাধীন ৫ নং ফোল্ডারের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সিংহরতলী এলাকায় চুনকুড়ি নদীর ভেড়িবাঁধে প্রায় ৬০/৬৫ মিটার এলাকা জুড়ে ভয়াবহ ফাটল দেখা দেয়। খেতে স্থানীয় মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েন। জরুরী ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন বাঁধ মেরামত কাজ শুরু করা।
সোমবার জিও টিউব এর মাধ্যমে রিং বাঁধ দিয়ে মেরামতের কাজ সম্পন্ন করে। এত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন কাজ সম্পন্ন করায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সাধুবাদ জানান। সোমবার সকালে ভাঙ্গন অবহেলিত স্থান পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, পাউবো, দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল, খুলনা বিদ্যুৎ কুমার সাহা, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাহউদ্দিন, এদিকে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ফাটলের খবর শুনে শনিবার থেকে প্রতিদিনই শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা: রনী খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার (এসও) প্রিন্সি রেজা সিংহরতলী এলাকায় ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এসময় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসীরা জানান, ফাটল দেখে তারা ভয় পেয়ে যান এবং দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেন। তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
বাসিন্দারা আশা করছেন, সংস্কারের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হবে। বেড়িবাঁধের ফাটল এলাকা পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ কুমার সাহা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, পাউবো, দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল, খুলনা বিদ্যুৎ কুমার সাহা বলেন, বাজার ফাটলের বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি এখন পর্যন্ত যে অবস্থা আছে পুরোপুরি আশঙ্কা মুক্ত। বাদ পুরাপুরি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে আছে জিও টিউবের মাধ্যমে রিং বাদ দেয়া হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপরে যে সকল অবৈধ নাইনটি ফাইপ এবং বাক্স কল আছে সবগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করার নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রনী খাতুন বলেন, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে থাকা এসওকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। তারা ভোর থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছে। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। তিনি এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে বাঁধ সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও প্রিন্স রেজা বলেন, চুনকুড়ি নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের খবর গ্রামবাসীর কাছ থেকে জানতে পেরে ভোর সেখানে গিয়ে দেখি প্রায় ৩০/৩৫ মিটার এলাকা জুড়ে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙন রক্ষার্থে কাজ শুরু করা হয়েছে। খুব দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।