আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে কাঠের ব্রীজে ব্যবহৃত রেল লাইনের পাতের ১২ টি খুঁটি মইজদ্দিনের নেতৃত্বে চোরাই পথে বিক্রীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তথ্য উদঘাটনে মাঠে নামলে বিক্রেতারা দৌঁড় ঝাঁপ করে সামলাতে না পেরে রাতের আঁধারে ৬টি খুঁটি গোপনে কাজের ধারে ফেলে রেখে গেছে বলে জানাগেছে। খাজরা ইউনিয়নের পারিশামারী হাই স্কুলের সামনে ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু হয়েছে।
যেখানে পূর্বে রেলের পাটির খুঁটি ব্যাবহার করে কাঠের সাঁকো নির্মান করা হয়েছিল। সাঁকোটি ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়লে সরকারি ব্যয় বরাদ্দে ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। রেলের পাটির ১৮টি খুঁটি সেখান থেকে উঠিয়ে তার থেকে ১২টি খুঁটি গোপনে বিক্রী করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে দেখতে পান ব্রীজের পাশে ৩টি খুঁটি রয়েছে। খালের অপর পাড়ে শাহিনের বাড়ীতে ৩টি খুঁটি পাওয়া যায়। এলাকাবাসী জানান, সেখান থেকে মোট ১৮ টি খুঁটি উঠানো হয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সেখান থেকে বড় চাকার ইঞ্জিন চালিত গাড়িতে করে ১২ টি খুঁটি নিয়ে গরালি বাজারে বিক্রী করা হয়। ব্রীজের কাজে ব্যবহৃত ভ্যেকু মেশিনের কন্ট্রাক্টর চেউটিয়া গ্রামের মৃত জিয়াদ বিশ্বাসের ছেলে মইজ উদ্দীন জানান, শুনেছি মেশিন চালানোর পূর্বে কয়েকটি খুঁটি উঠানো হয়েছিল। আমরা বুধবার সন্ধ্যা রাতে ৭টি খুঁটি উঠিয়ে পাশে রাখি। সকালে এসে দেখি ৪টি নেই। তবে তিনি চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে ব্রীজের ঠিকাদারের পাহারাদার ছিল, তাকে এখনো পাইনি।
পেলে কথা বলবেন। চুরি যাওয়া খুঁটি উদ্ধারে তিনি চেষ্টা করছেন এবং দ্রুত উদ্ধার করতে চেষ্টা করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। তবে আশ্চার্যজনক হলেও সত্য এদিন রাতেই চুরি যাওয়া ১২টি খুঁটির মধ্যে ৬টি খুঁটি গোপনে গোপনে ব্রীজের পাশে কে বা কারা রেখে গেছে বলে বৃহস্পতিবার তিনি জানান।
ব্রীজের কাছে স্কুল মাঠে রাস্তার পাথর বহন কাজে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর মইজদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালী দুই নেতা ও এক নেতার ভাইপোর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় খুঁটিগুলো ভ্যেকু মেশিনের সাহায্যে উঠানো হয় এবং পরে আলম সাধুতে উঠিয়ে পাচার করা হয়। খুঁটিগুলো গরালী বাজারে নিয়ে বিক্রী করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মইজউদ্দীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সবকিছু উদঘাটন হবে।
খাজরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু জানান, খুঁটি চুরির কথা শুনেছি, একদিন পর ৬টি পাওয়া গেছে। যা স্কুলে রাখা আছে। আরেকটি কার বাড়িতে আছে এবং উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় বিএনপি নেতা বোরহান উদ্দীন বুলু জানান, হারানো খুটি ৬ টি পাওয়ার পর ৯টি খুঁটি আমার জিম্মায় স্কুলে রাখা হয়েছে।