আলম হোসেন, কলারোয়া ব্যুরো : কলারোয়ায় নকল, ভেজাল, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় বন্ধে ফার্মাসিস্টদের সুস্পষ্ট অঙ্গীকারে অনুষ্ঠিত হলো সচেতনতামূলক সভা। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে বাংলাদেশ ক্যামিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি (বিসিডিএস) কলারোয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত হয় বার্ষিক সম্মেলন ও জনসচেতনতামূলক সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিডিএস কলারোয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ শামসুর রহমান। বিসিডিএস কলারোয়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী শামসুর রহমান ও হুমায়ুন কবির শিমুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জহুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি বন্ধ করতে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা জরুরি। সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।“
প্রধান মেহমান সাতক্ষীরা জেলার ঔষধ পরিদর্শক মোঃ বাশারাফ হোসেন বলেন, “বাজার থেকে নকল ও ভেজাল ঔষধ নির্মূলের জন্য ফার্মাসিস্টদের নিজ উদ্যোগেই সতর্ক থাকতে হবে। লাইসেন্সবিহীন দোকান পরিচালনার সুযোগ আর থাকবে না। নিয়মিত মনিটরিং চলবে। “প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিসিডিএস সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ দ্বীন আলী।
তিনি ববলেন “ফার্মাসিস্টরা ১ মে ২০২৫ থেকে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রি করবেন এবং তাদের মুনাফার ৫ শতাংশ জনসেবায় ছাড় প্রদান করবেন। জনগণকে সুলভ মূল্যে সঠিক ঔষধ সরবরাহে আমরা বদ্ধপরিকর। “এবং লাইসেন্স বিহীন কোন ফার্মাসিস্ট বা ড্রাগিস্ট থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব শেখ কামরুল ইসলাম, কাজিরহাট কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সাংবাদিক কে.এম আনিসুর রহমান এবং বাংলাভিশন টেলিভিশনের ( ডিজিটাল ) সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ফারুক হোসেন রাজ, দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল এর দেভহাটা ব্যুরো অহিদুজ্জামান প্রমুখ।
বিসিডিএস কলারোয়া উপজেলা কমিটির উদ্যোগে সমাবেশ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ, সকল ঔষধ সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি, প্রতিটি ঔষধ বিক্রয় ক্যাশ মেমো প্রদান বাধ্যতামূলক, নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান, প্রতিটি ফার্মাসিস্টের মুনাফার ৫ শতাংশ জনসেবায় ছাড় প্রদান।