দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার ভাতশালা থেকে আরমান ২ বছর ৭ মাস বয়সের এক শিশুর লাশ ২ মাস ১ দিন পর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করেছে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন। ময়না তদন্ত শেষে পুনরায় দাফন করা হয়। ৩০ এপ্রিল বুধবার বিকালে ভাতশালা গ্রামের পারিবারিক কবর স্থান থেকে উক্ত লাশ উত্তোলন করা হয়।
লাশ উত্তোলন সময় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান, দেবহাটা থানার নবাগত ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয়। জানা যায়, প্রথম তারাবির দিন লিজা তার সন্তান আরমানকে বিষ দিয়ে মেরে মিনিষ্টোক করেছে বলে তার স্বামী কুমিল্লায় কাজে অবস্থানরত আব্দুর রহিম কে জানায়।
অসুস্থ শিশু আরমানকে প্রথমে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তার বিষ খাওয়ানো হয়েছে বুঝতে পেরে কিছু না বলে খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। খুলনা যাওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে বাড়ি নিয়ে দাফন সম্পন্ন করে। থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই তাজুল জানান, সখিপুর গ্রামের আরিয়ান আলামিন নামের এক ছেলের সাথে ভাতশালা গ্রামের আ: রহিম ঢালীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী সোনালী আক্তার লিজা (২২) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার কারণে নিজের শিশু বাচ্চাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে লুকিয়েছিল। কবর দেওয়ার সময়ে বাচ্চার মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে ও লাশের অবস্থা দেখে তখন তার বাবার অভিভাবকদের সন্দেহ হয়।
সন্দেহের পর থেকে তাকে মাঝে মাঝে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করার পর ৮/৯ দিন পর সে নিজে বিষ খাইয়ে মেরেছে স্বীকার করে। তখন শিশুর পিতা আ: রহিম বাদী হয়ে দেবহাটা থানার তার স্ত্রী লিজা ও তার প্রেমিক আরিয়ানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং – ৬/২৫ (দেব)। মামলার করার পরে লিজাকে গ্রেফতার করা হলে তার স্বীকারোক্তিতে লিজা বলেন, যদি বাচ্চা থাকে তার প্রেমিকার সংসারে যেতে অসুবিধা পরকীয়া প্রেমিক সে তাকে মেনে নিবে না। সেই জন্য সে সিঙ্গেল হয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে।