আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে মৎস্য ঘের নিয়ে মিথ্যা মামলা, হামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিকার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক মৎস্য ব্যবসায়ী। রবিবার সকালে আশাশুনি প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে প্রতিকার প্রার্থনা করেন শ্রীউলা ইউনিয়নের নাকতাড়া গ্রামের গণেশ চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে স্বপন মণ্ডল।
ঘের মালিক স্বপন মনাডল জানান, মাড়িয়ালা মৌজার নাকতাড়া বিলে পৈত্রিক (বিল পরিচালনা কমিটির এওয়াজ মূলে) ৮৮ শতক জমিতে তিনি চিংড়ি চাষ করে আসছেন। পাশাপাশি ঘের হওয়ায় নাকতাড়া গ্রামের বিমল সরকারের ছেলে মামলাবাজ মনোরঞ্জন সরকার তাকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মনোরঞ্জন কিছু লাঠিয়াল নিয়ে তার মৎস্য ঘেরের বাসা ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল।
এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলে তখন তিনি আর আদালতে যাননি। কিন্তু ঘটনার কয়েকদিন পর থেকে সে পূণরায় ঘের মালিককে মারধরের হুমকি দিলে গত ১১ মার্চ তিনি তার বিরুদ্ধে থানায় ৪১৮ নং সাধারণ ডায়রি করেন। এতেও সে নিবৃত না হয়ে বিজ্ঞ আদালতে তার বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর পেনাল কোড ১৮৮ ধারায় রিট পিটিশন করলে বিজ্ঞ আদালত আশাশুনি থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তাও মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আইনানুগ কোন ক্ষতি করতে না পেরে মনোরঞ্জন গত ২৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে তার মৎস্য ঘেরের বাসায় তাকে একা পেয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। স্বপন কোন রকমে সেখান থেকে বেঁচে ফিরেন। কিন্তু হামলাকারী মনোরঞ্জন এ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অহেতুক ভর্তি হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন।
নিত্যনতুন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তিতে মৎস্য ঘের করতে স্বপন হিমশিম খাচচ্ছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে এই মামলাবাজ মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।