আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসিরের নির্দেশ অমান্য করে উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনসিটিবি ও অনুমোদন বিহীন পাঞ্জেরী গাইডসহ বিভিন্ন গাইড কেনাবেচার রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে। নেপথ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তার সহযোগিতা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ কয়েক দফা মিটিং করে পাঞ্জেরী গাইড বই তাদের তত্ত্বাবধানে উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধরানোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এনিয়ে জনৈক তুহিন উল্লাহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় গত ১৬ এপ্রিল সমিতি নেত্ৃৃবৃন্দ ও সকল মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধানকে চিঠি করেন।
চিঠিতে “—– ছাত্র/ছাত্রীদের পাঞ্জেরী গাইড বই ক্রয়ে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া, এনসিটিবি ও অনুমোদন বিহীন গাইড বই পাঠ্য পুস্তক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশনা থাকলেও কিছু সংখ্যক প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি এনসিটিবি ও অনুমোদন বিহীন পাঞ্জেরী গাইড বই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য পুস্তক তালিকায় অন্তরভুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনটিসিবি ও অনুমোদন বিহীন পাঞ্জেরী গাইডসহ অন্যান্য পাঠ্য পুস্তক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করতে, ক্রয়ে বাধ্য না করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এতকিছুর পরেও উপজেলার অনেক প্রতিষ্ঠানে পাঞ্জেরী গাইড (অক্ষর পত্র গ্রামার ও ব্যাকরণ) বই ক্রয়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কুঁন্দুড়িয়া, গোয়ালডাঙ্গা, বুধহাটাসহ বেশ কিছু স্কুলে নির্দিষ্ট গাইড বইয়ের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া লেকচার, পপি, অনুপম, জুপিটর গাইডের ব্যবহারের অভিযোগও কমবেশী রয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরিফুল ইসলাম জানান, ইউএনও সাহেবের চিঠি পেয়ে আমরা গাইড বন্ধ করে দিয়েছি। তবে কিছু অভিভাবক গাইড ব্যবহার করাচ্ছেন শুনেছি। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে তিনি দাবী করেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত মন্ডল জানান, চিঠির আগে আমরা পাঞ্জেরী গাইডের কথা বলি, চিঠি পাওয়ার পর গাইডের ব্যাপারে আমরা কাউকে কোন কথা বলিনি। কেউ ব্যবহার করলে তাদের ব্যাপার। তবে ছাত্র ছাত্রীরা কিনছে। তাদের কোনো চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না।