খান আতাউর রহমান লিটন, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটা বাজারে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারনার ফাঁদে পড়ে ভুক্তভোগীরা প্রতারিত হচেছ বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ প্রতারনার ফাঁদে পড়ে ভুক্তভোগী তালার খোর্দদ গ্রামের মীর শফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা বেগম অবশেষে গত ২৭ শে মে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। উক্ত অভিযোগ টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাটকেলঘাটা থানার ওসি কে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনা চারিদিকে জানাজানি হওয়ার পরে এলাকার সহজ সরল সাধারণ জনগণ বিপদে পড়ে বাজারের অন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে নিজেদের স্বর্ণ রেখে সুদে টাকা নিয়ে এখন আতঙ্কের ভিতর আছেন অপরদিকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাজারের এই একটি দোকান নিউ নকুল জুয়েলার্স গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার কারণে আমরা পড়েছি এখন মহাবিপদে এ ঘটনা জানাজানির পরে সাধারন মানুষ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে ভুক্ত ভোগী নাছিমা বেগম বিপদে পড়ে পাটকেলঘাটা বাজারের নিউ নকুল জুয়েলার্স এর মালিক প্রবোধ সান্যালের নিকট ২০১৭ সালে ১ টি স্বর্ণের চেইন ৮.৫০ আনা ২ জোড়া কানের ৭ আনা ১ টি আংটি ২.৫ আনা। সর্বমোট ৪ টি স্বর্ণের গহনা যার ওজন প্রায় ১ ভরির একটু বেশি বলে জানা যায।
অভিযোগকারী নাছিমা বেগম জানান, উক্ত গহনা বন্ধক রেখে তিনি ১৫ হাজার টাকা গ্রহন করে। যাহা হাজারে ৪০ টাকা হারে মাসিক ৬ শত টাকা হারে সুদ দেওয়ার কথা ছিল। সেই হিসাবে তিনি উক্ত ১৫০০০ টাকায় এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৬০০ শত টাকা সুদ দিয়েছেন। এদিকে নাছিমা বেগম গত ২০ শে মে একসাথে ১৫ হাজার টাকা সহ বকেয়া সমুদয়য় সুদের টাকা জোগাড় করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দোকান মালিকের সব টাকা পরিশোধ করিয়া দিয়েছেন। এবং অভিযোগ করেন সব টাকা পরিশোধ করিলেও স্বর্ন ব্যবসায়ী নিউ নকুল জুয়েলার্স এর মালিক প্রবোধ স্যানাল তার দোকানে দীর্ঘদিন সোনা রাখার বয়স হওয়ার কারণে এবং তিনি কোন লিখিত কাগজ না দেওয়ার সুযোগ নিয়ে তিনি চারটি গহনার ভিতরে দুইটা গহনা দিতে স্বীকার করেন আর বাকি দুইটি গহনা তিনি দিতে অস্বীকার করেন।
এদিকে তার বাকি দুইটি গহনা ফেরত না পেয়ে নাছিমা বেগম তার কাছে বার বার গহনা চাইলে তিনি তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আমার কাছে আর নাই বলে তাড়িয়ে দেন। এ ব্যাপারে উক্ত নাছিমা বেগম তালা উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সভাপতি মীর জামাল উদ্দিন এর কাছে অভিযোগ করেন।
এ সময় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সভাপতি মীর জামাল বলেন, প্রবোধ স্যানাল একটা বেয়াদব তার বিরুদ্ধে এরকম এধরনের অভিযোগ আগে ও কয়েকটা আমরা পেয়েছি। তার জন্য আমাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মান সম্মানের হানি ঘটছে সে আমাদের সমিতির কোন নিয়ম কানুনের ধার ধরেন না। আপনি আইন সম্মতভাবে উপজেলা নির্বাহী বরাবর আবেদন করেন তারপরে বিষয়টা আমরা দেখবো। এ ঘটনায় নাছিমা বেগম কোন উপায় অন্তর না পেয়ে অবশেষে তালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ২৭ শে এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দাযের করেছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ রাসেল বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুদ্দিনকে নির্দেশ দেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেন।
