অহিদুজ্জামান খান : সোমবার ১৯ মে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধীনস্থ ঘোনা, কাকডাঙ্গা, ঝাউডাঙ্গা, মাদরা ও চান্দুরিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০৩ বোতল ভারতীয় মদসহ প্রায় তেরো লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পর আভিযানিক দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জুগিবাড়ি নামক স্থান হতে ০৩ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
এছাড়াও, ঘোনা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানধীন ব্যাংলোর মোড় নামক স্থান হতে ৯,০০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় গলদা চিংড়ি মাছের রেনু পোনা আটক করে। কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক তিনটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩ এস এর ৫ ও ৭ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০-৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভাদিয়ালী ও গেড়াখালী নামক স্থান হতে ২,৭৯,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ, শাড়ি ও বোরকা আটক করে। মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩ এস এর ৮ আরবি হতে আনুমানিক ২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভাদিয়ালী মাঠ নামক স্থান হতে ৩০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে।
এছাড়াও, চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১৭/৭ এস এর ১৮ আরবি হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাদপুর নামক স্থান হতে ৩০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। সর্বমোট ১২,৪৮,৫০০/- (বারো লক্ষ আটচল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে। চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে। দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।