নিজস্ব প্রতিনিধি : বুধবার ২১ মে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনস্থ ভোমরা, বৈকারী, গাজীপুর, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, মাদরা ও সুলতানপুর বিওপি এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় আট লক্ষ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মালামাল আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-২/৫ এস হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ঘোষপাড়া নামক স্থান হতে ৩৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। বৈকারী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-৭/৮ এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন নতুনপাড়া নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
গাজীপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-৪/১৫ এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ইউনুসের ঘের নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এর ২ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন কেড়াগাছি মাঠ নামক স্থান হতে ১,৪০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এর ৪ ও ৫ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন গেড়াখালী ও কেড়াগাছি নামক স্থান হতে ৯৬,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও বোরকা আটক করে। মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এর ১০ আরবি হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন রাজপুর নামক স্থান হতে ১,০৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
এছাড়াও, সুলতানপুর বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৬/৫ এস ও ১৭/১ এস হতে আনুমানিক ১০০-৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন বরই বাগান ও সুলতানপুর নামক স্থান হতে ২,১০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। সর্বমোট ৭,২৬,০০০/- (সাত লক্ষ ছাব্বিশ হাজার) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে। চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়।
এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।