শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বজ্রপাতের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এছাড়া প্রতি বছর বজ্রপাতে প্রাণ হারান বহু মানুষ। সঠিক সময়ে সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করলেই এই প্রাণহানি অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। বজ্রপাতের সময় করণীয় ও সতর্কতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণহানি অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। এসমস্ত সচেতনতা মূলক বক্তব্য নিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাত সচেতনতায় জেলে-বাওয়ালীদের নিয়ে সচেতনতা মূলক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকাল ৫টায় স্থানীয় জনগোষ্টীর আয়োজনে এবং সিডিওর উদ্যোগ ও বাস্তবায়নে উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের বুড়িগোয়ালীনি জেলেপাড়া ব্যারাকে উক্ত সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এসময় বক্তারা বলেন, বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ, ধানক্ষেত বা জলাশয় এড়িয়ে চলুন। বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় থাকলে বজ্রপাতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই খোলা মাঠ, ধানক্ষেত, পুকুর বা নদীর ধারে অবস্থান করবেন না।বজ্রপাত সচেতনতায় বক্তারা বলেন, উঁচু গাছের নিচে আশ্রয় নয়।
অনেকেই ভয়ে গাছের নিচে আশ্রয় নেন, যা বিপজ্জনক। বজ্রপাত সাধারণত উঁচু বস্তুতে আঘাত হানে। তাই গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক হতে পারে। বজ্রপাত হলে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন। বজ্রপাতের সময় টেলিভিশন, মোবাইল ফোন চার্জে রাখা, কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করাই ভালো। গাড়িতে থাকলে জানালা বন্ধ রাখুন। গাড়ির ভেতরে থাকলে নিরাপদ থাকলেও জানালা খোলা রাখলে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। গাড়ির ধাতব কাঠামো বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
তারা বলেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভিতরে অবস্থান করুন। বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পেলেই ঘরের ভিতরে চলে যান এবং দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন। প্লাস্টিক বা কাঠের আসবাবপত্রে বসে থাকুন। যদি বজ্রপাত হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে কানে আঙুল দিয়ে নীচু হয়ে বসুন। অনুষ্ঠানে সচেতনতা মূলক বক্তব্য রাখেন সিডিওর সিনিয়র ভলেন্টিয়ার হাফিজুর রহমান, সিডিওর ফিল্ড অর্গানাইজার আফজালুর রহমান, ফিল্ড অর্গানাইজার মিনারুল হক,রুবিনা পারভীন সহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ।বজ্রপাত বিষয়ে এধরণের সচেতনতা মূলক উঠান বৈঠকের আয়োজন করায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।