আহিদুজ্জামান খান : বৃহস্পতিবার ২২ মে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধীনস্থ ভোমরা, কুশখালী, কাকডাঙ্গা, ঝাউডাঙ্গা, হিজলদী. সুলতানপুর ও চান্দুরিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২০০ পিস ভারতীয় কাটাগ্রা ট্যাবলেটসহ প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুশখালী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১১/৫ এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানধীন বটতলা নামক স্থান হতে ভারতীয় কাটাগ্রা ২০০ পিস আটক করে। এছাড়াও, ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-৩/৫ এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লক্ষীদাড়ি নামক স্থান হতে ৩৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। হিজলদী বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩ এস এর ১৪ আরবি এবং ১৩/৪-এস হতে আনুমানিক ২০০-৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বড়ালী মাঠ এবং আমবাগান নামক স্থান হতে ৭২,৪০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ ও পেয়াজ আটক করে।
কাকডাঙ্গা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩ এস এর ৭ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভাদিয়ালী নামক স্থান হতে ৪৮,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও বোরকা আটক করে। ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের আভিযানিক দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোপিনাথপুর নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। সুলতানপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৭/১ এস হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুলতানপুর নামক স্থান হতে ১,৪০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
এছাড়াও, চান্দুরিয়া বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৭/৪ এস হতে আনুমানিক ১৫০-২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোয়ালপাড়া এবং কাদপুর নামক স্থান হতে ৫২,৫০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। সর্বমোট ০৪,৪৭,৯০০/- (চার লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার নয়শত) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে। চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়।
এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে। দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।