মেহেদী হাসান শিমুল : সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর মোড়ে দ্রুতগামী বাসের চাপায় দেড়বছরের এক ছোট্ট শিশু নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে ৬জন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি শামিনুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে দশটার দিকে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কে দ্রুতগামী বাস একটি বিদ্যুতচালিত থ্রি-হুইলার ইজিবাইককে চাপাদিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানার সাথে হতাহতদের উদ্ধারে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে দেড়বছরের শিশু ও নিহত হয়েছে আটজনের বেশী। তবে গুরুতর আহত ৬জন। ঘাতক বাসটিকে জব্দ করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাসচালক ও তার সহযোগীরা পালিয়ে গিয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা: রাশেদ খান জানান, রামচন্দ্রপুরে দূর্ঘটনার তথ্যে হতাহতরা হাসপাতালে পৌছালে প্রথমে কথা বলতে পারছিল না। তাদের অবস্থা ছিল গুরুতর। ১বছরের একটু বেশী বয়সী শিশু মোস্তাকিমকে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার সে শাপলা খাতুনের পুত্র সন্তান।
গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে নিহত শিশু মোস্তাকিমের মা শাপলা খাতুন(২৫)কে। শাপলার মা নাজমা খাতুনের অবস্থাও আশংকাজনক। তাদের বাড়ি খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামে।
এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় থাকা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে রাশেদ আলী (৪০), আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরের রজবআলী সরদারের ছেলে মোজাম্মেল সরদার (৩২), খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ফাতেমা খাতুন, লাউড়ী গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে হযরত আলী (৪৫) এর চিকিৎসা চলছে। ডা: রাশেদ জানান, আহতদের মধ্যে এই ৬জনের অবস্থা আশংকা জনক।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত আলমসাধু চালক মুজাম্মেল হোসেন জানান, আশাশুনির দিক থেকে সাতক্ষীরাগামী বাস একটি ইজিবাইক, তার আলম সাধু ও একটি মটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পিষ্ট করে চলে যায়। দুর্ঘটনাটি অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে যায়। মটরসাইকেল চালককে কে বা কারা নিয়ে চলে যায়। তার অবস্থা জানা যায় নি। পথচারী নাজমুলকে আহত অবস্থায় স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। আর বাসের চালক ও তার সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে সেখানে পুলিশ আসে।