শেখ নুরুজ্জামান, কালিগঞ্জ (সদর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুলখালি গ্রামের মৃত আক্কাস আলী গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন পরিবার নিয়ে আব্দুলখালি গ্রামে শান্তিতে বসবাস করতো। কিন্তু তার পার্শ্ববর্তী দূর-সম্পর্কে আত্মীয় ও প্রতিবেশী মোঃ নজরুল ইসলাম মোছাঃ মরিয়ম খাতুন মোঃ বিল্লাল হোসেন মোঃ কামাল শেখ সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে তাদের এই ভালো থাকা সহ্য করতে পারত না।
প্রায় সময় খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে রাতের অন্ধকারে দিনের আলোতে ক্ষয় ক্ষতি করার চেষ্টা করতো। যেমন ফলন্ত আম, লিচু অন্যান্য ফল পেড়ে নেওয়া ও বাচ্চাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো। এ সকল ঘটনার কারণ হিসাবে আব্দুল্লাহ আল-মামুন সাংবাদিকদের জানান, তার পরিবার এবং তার পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীর পরিবার একই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ ২২ বছর চলাচল করতো। যেটা স্থানীয় ইউ,পি সদস্য ও সাধারণ জনগণের মুখ থেকে জানা গেছে।
আব্দুল্লাহ আল-মামুন চাকরির সুবাদে ও পরিবারের নিরাপত্তার কাথা ভেবে তাদের সাথে কোন গোলযোগে না গিয়ে পরিবার নিয়ে যশোর সেনানিবাসে চলে আসেন। ইতিপূর্বে চলাচলের ওই রাস্তা নিয়ে ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে কয়েক দফায় বিচার হয়েছে। যেটা রায় আব্দুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছে এবং সেভাবেই চলছিল।
হঠাৎ করে মোঃ নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনরা মিলে রাজনৈতিক সাইনবোর্ড কাজে লাগিয়ে গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের গেটের সামনে বাশ কুঞ্চি ও মুরগির কোটা বানিয়ে তার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সম্পূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেয়। যেটা সত্যতা সাংবাদিকরা উক্ত স্থান পরিদর্শনের মাধ্যমে পেয়েছেন।
বর্তমানে আব্দুল্লাহ আল-মামুন কোন উপায়া না পেয়ে আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ও কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এবং তিনি বলেন যদি আমি কোন প্রকার অন্যায় অনিয়ম করে থাকি তাহলে অবশ্যই আমি তার জন্য যে শাস্তি হয় তা আমি মাথা পেতে নেব। এবং তিনি আরো বলেন প্রতিবেশী মোঃ নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনের এ ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের পারিবারিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে ও মানসিকভাবে তিনি বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এজন্য তিনি প্রশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তা ও মহামান্য আদালতের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত ভিত্তিক সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।