নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় যুব-নেতৃত্বে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) বিকাল ৩ টায় সাতক্ষীরা জেলা লিগ্যাল এইড কনফারেন্স রুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় যুব-নেতৃত্বে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার, জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, ওসিসি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ইমাম, তরূণ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মুহাম্মদ নাছির উদদীন ফরাজী।
এসময় বক্তব্য রাখেন, ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মো. আব্দুল হাই, ফিংড়ি ও ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আলকাজ আলী, ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা রেবেকা সুলতানা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের মোছা: ময়না খাতুন, ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সসস্য মো. আবু ছালেক, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিবুর রহমান বাবলা, জেডিএফ সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, প্রতিবন্ধী পুর্নবাসন কল্যান সমিতির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, পলাশপোর আহছানিয়ে জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা রেজাউল ইসলাম, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবর রহমান, আইন ও শালিশ কেন্দ্রে ও প্লাটফর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ, ভুক্তভোগী ও যুবসদস্যবৃন্দ। উক্ত সংলাপে স্বাগত বক্তব্য প্রদান ও প্রকল্পের কার্যক্রম ও প্রোগ্রামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ)।
যুব সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, কর্নফুলি যুব সংঘের সদস্য শাহনাজ পারভীন ও মোহাইমিন, স্বপ্নচূড়া যুব সংঘের সদস্য হালিমা খাতুন, সবুজ পৃথিবী যুব সংঘের সদস্য রিপন হোসেন, প্রথম আলো বন্ধু সভার সভাপতি কর্ন বিশ্বাস কেডি। এছাড়াও ভুক্তভোগিগন নিজেদের জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং এর প্রতিকার প্রত্যাশা করেন। সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার ও জেলা আইনি সহায়তা অফিসের যৌথ উদ্যোগ গ্রহন। লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরী করা।
ভুক্তভোগিদের আইনি সহায়তা প্রদান করা। ইউনিয়ন পর্যায়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটিকে সক্রিয় করা ও অভিযোগের প্রতিকার করা। এবং প্রত্যাশা ছিল লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার ও জেলা আইনি সহায়তা অফিসের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হবে। লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে। স্থানীয় পর্যায়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতন হ্রাস পাবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশ ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার।