কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের নরহরকাটি গ্রামে সৌদি খেজুর চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন প্রবাসী শেখ শোখর আলী (৫৮)। তিনি মৃত শেখ আরিজুল্লাহর পুত্র।সৌদি আরব ও বাহরাইনে অবস্থানরত তার দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবু ও শেখ মনিরুল ইসলামের সহায়তায় সৌদি খেজুরের বীজ সংগ্রহ করে তিনি নিজ গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে খেজুর চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি তার বাগানে গাছগুলো সুস্থভাবে বেড়ে উঠছে এবং ইতিমধ্যে কিছু গাছে ফলনও দেখা গেছে।
শেখ শোখর আলী জানান, তিনি প্রবাসী আত্মীয়দের মাধ্যমে খেজুরের বীজ সংগ্রহ করে দেশীয় আবহাওয়ায় রোপণ করেন। পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো ফলন পাওয়ায় আশাবাদী হয়ে ওঠেন। এখন তিনি এলাকার আগ্রহী চাষিদের খেজুর গাছের চারা উৎপাদন, রোপণ ও পরিচর্যার বিষয়ে পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছেন।স্থানীয় কৃষকদের মতে, তার এই উদ্যোগ এলাকায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের সময়ে খরাপ্রবণ এলাকায় খেজুর চাষ লাভজনক বিকল্প হতে পারে।
শোখর আলী সাংবাদিকদের আরো জানান, কৃষিতে নতুন কিছু করার তাগিদ থেকেই তিনি পরীক্ষামূলকভাবে মরিয়ম জাতের কয়েকটি খেজুর গাছ রোপণ করেন। নিয়মিত যত্ন ও পরিচর্যার মাধ্যমে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। বর্তমানে গাছগুলোতে থোকা থোকা খেজুর দেখা যাচ্ছে, যা পুরো এলাকার মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। শুধু সৌন্দর্য নয়, এ খেজুরের বাজারমূল্যও বেশ চমকপ্রদ।
শুকুর আলীর আশা, বাণিজ্যিকভাবে এই খেজুর চাষ সম্প্রসারণ করতে পারলে এলাকায় কৃষিতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। ইতিমধ্যে অনেকেই তার খামার পরিদর্শনে আসছেন এবং আগ্রহ প্রকাশ করছেন চাষ পদ্ধতি শেখার। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপযুক্ত মাটি ও পরিচর্যা পেলে মরিয়ম খেজুর এই অঞ্চলে আরও বিস্তৃতভাবে চাষ করা সম্ভব। এ ধরণের উদ্যোগ কৃষিতে বৈচিত্র্য আনবে এবং কৃষকের আয় বাড়াতে সহায়তা করবে। শোকর আলীর ১৫ কাঠা জমিতে সহ ১২/১৩ হাজার চারা আছে ইতিমধ্যে তিনি ওই খেজুরের ছোট চারা গুলো ৩০০ টাকা পিচ এবং বড় চারা প্রতি পিচ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।