দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের টিসিবির মাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডিলার ইমান আলী টিসিবির মালক্রেতাদের ও এলাকাবাসীর রোষানালে পড়ে। দেবহাটা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে এবারের মত রেহাই পায়। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তার পাশে আশিক এন্টারপ্রাইজ ডিলার ইমান আলীর দোকানে।
ভুক্ত ভোগীরা জানান, ১ নং কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবির মাল ৫৪০ টাকায় ৫ কেজি চাউল,২ কেজি ডাউল,১ কেজি চিনি ও ২ কেজি তৈল দেওয়া হয়। ৪ প্রকার মালের মধ্যে ৫ কেজি চাউল ওজনে কম দেওয়া হয়েছে সন্দেহ হলে ক্রেতাদের মধ্যে একজন চাউল অন্য জায়গায় ওজন দিলে ৫ কেজির চাউলের পরিবর্ত্তে ৪ কেজি ২ শত ও ৩ শত গ্রাম করে চাউল দেওয়া হয়েছে। ৫ কেজিতে ২ শত থেকে ৩ শত গ্রাম করে ওজনে কম দেওয়ার প্রমাণিত হয়।
স্থানীয় জামায়াত নেতা মাসুম খান চৌধুরী নিজে কম দেওয়ার প্রমাণ পেয়ে তিনি বলেন, এই ডিলার ইমান আলীর পরিবারের মধ্যে ১৬- ১৭ জন টিসিবির ডিলার আছে, তাদের পরিবারের আর একজন ডিলার কিছু দিন আগে কালিগজ্ঞে মাল বিতরণের সময়ে একই অবস্থা করেছিল। তাছাড়া গত ঈদের আগে দেবহাটা উপজেলায় কুলিয়া ইউনিয়ন ছাড়া অন্য সকল ইউনিয়নে রোজার সময় বেশি প্রয়োজনীয় মাল ছোলা দিলেও এই ডিলার ইমান আলী ছোলার পরিবর্তে কম দামের অন্য মাল দিয়ে ছিলেন। স্থানীয়দের অভিমত এই ডিলার এত দুর্নীতি করার পরও কিভাবে এখনো ডিলার শিপ থাকে।
দেবহাটা উপজেলা ফুড ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত জানান, আমি লোক মারফত জানার পারে ঘটনাস্থলে যেয়ে ওজন কম দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করি। এব্যাপারে তিনি আরোও বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আরও তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরোও তদন্ত সাপেক্ষে সত্য প্রমাণিত হলে ডিলার ইমান আলী ডিলার শিপ বাতিল করে অন্য কাউকে ডিলার শিপ নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা সহ এলাকার সচেতন মহল দেবহাটা ইউ এন ও সহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান।