দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডেও (পুষ্পকাটি) ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীকে আকষ্মিক ভাবে মারপিটের অভিযোগে সমন্বায়ক পরিচয়ধারী ৩ জনকে আটক করেছে।
১২ জুন ২৫ বৃহস্পতিবার বেলা আনু: ২.৩০ টায় পুষ্পকাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। দেবহাটা থানাধীন বহেরা গ্রামের মৃত্য আব্দুল আলিমের ছেলে নাহিদ হাসান (২২), শ্যামনগর থানাধীন কালিংসি গ্রামের আত্তাপ মোল্লার ছেলে আব্দুর রহিম( ২১), আশাশুনি থানাধীন গোদাড়া গ্রামের সবুর গাজীর ছেলে আব্দুর রহমান (৩০) এই ৩ জনকে আটক করে এবং হোসেন আলী (৩৫) ও অজ্ঞাতনামা আরও একজন ঘটনা স্থল থেকে গ্রামবাসীর রোষানলে ছিটকে পড়েন।
৩ জনকে আটকের পর দেবহাটা থানায় সংবাদ দিলে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান তৎক্ষনাৎ এস আই শরিফুল ইসলাম, এ এস আই রফিকুল ইসলাম ও এ এসআই দেলোয়ার হোসেন ঘটনা স্হলে এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভোক্ত ভোগী ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী জানান, ১২ জুন বেলা আনুঃ ২.৩০ টায় সময় আমি আমার বাড়ির পার্শ্বে গাছের নীচে বসে ছিলাম তখন আকষ্মিক ভাবে অচেনা সমন্বয়ক পরিচয়ধারী ৫ যুবক আমাকে মারপিট করতে থাকে। তখন প্রাণ নাশের ভয়ে দৌড়ে পলায়ন করি এবং আমাকে ধরার জন্য ২ জন সমন্বয়ক আমাকে ধাওয়া করে ব্যর্থ হয়, পরে তারাও পলায়ন করে।
আটককৃত সমন্বয়ক নাহিদ হাসান জানান, দেবহাটার মুজাহিদ নামের এক সমন্বয়ক আমাদেরকে এখানে পাঠাইয়াছে। ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী আওয়ামী লীগের সময়ে বহু লোককে ক্ষতি করেছিল,তাই তাকে থ্রেড দেওয়ার জন্য আমরা এসেছিলাম, কিন্তু আমরা তাকে কোন প্রকার মারপিট করেনি। সাতক্ষীরা থেকে সেনাবাহিনীর মেজর ইফতেখার ঘটনা স্থলে এসে আটককৃত সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, আব্দুর রহিম ও আব্দুল রহমান এই ৩ জনকে দেবহাটা থানা পুলিশের সম্মতিতে সাতক্ষীরা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পরে দেবহাটা থানার প্রেরণ করার কথা থাকলেও এ রিপোর্ট পর্যন্ত দেবহাটা থানায় দেওয়া হয়নি বলে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান।