অহিদুজ্জামান খান : সোমবার ১৬ জুন সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনস্থ সুলতানপুর, মাদরা, চান্দুরিয়া, ভোমরা, কাকডাঙ্গা, ঝাউডাঙ্গা ও ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ আভিযানিক দল বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় এগারো লক্ষ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মালামাল আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুলতানপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৬/৫ এস হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন পোতা নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩ এস এর ৮ আরবি হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ভাদিয়ালী নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৭/৭ এস এর ১৮ আরবি হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন কাঁদপুর আমবাগান নামক স্থান হতে ১,৪০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-২/৫ এস হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ঘোষপাড়া নামক স্থান হতে ২৪,৫০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। কাকডাঙ্গা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এর ৭ আরবি হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন ভাদিয়ালী নামক স্থান হতে ৫,২৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের আভিযানিক দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন রামেরডাঙ্গা নামক স্থান হতে ১,৪০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। এছাড়াও, ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন চাঁন্দা নামক স্থান হতে ১,৪০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। সর্বমোট-১০,৭৪,৫০০/- (দশ লক্ষ চুয়াত্তর হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।
চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যোগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগণ সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
