আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া ও মিত্র তেতুলিয়ার মাঝে অবস্থিত জ্বালাইয়ের খাল খননের জন্য কাবিখা প্রকল্পের ২৪/২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দ ২৪ মেট্রিক টন গমের বরাদ্দ আনুমানিক মূল্য ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার কাজ হাত কোদালে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হচ্ছে দায় সারা কাজ।
প্রকল্পের সভাপতি কাজের ব্যাপারে জানেন না। ক্ষমতার অপব্যবহারে কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর সরকার দীপ কর্তৃক মেম্বার তাপসী রানী কে প্রকল্পের সভাপতি করে নিজের তত্ত্বাবধায়নে কাজ শুরু করলেও বন্ধ হয়নি দুর্নীতি ও অনিয়মের। খাল খননের শুরুতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান দীপের বিরুদ্ধে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রাহ্মণ তেঁতুলিয়া, মিত্র তেঁতুলিয়া সহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের পানি নিষ্কাশন হয় এই খাল দিয়ে।
প্রকল্পের ১৬৩২ মিটার কাজের ২২ফিট আড় ও গভীরতা ৭ফিট করে খনন করার দিক নির্দেশনা থাকলেও চেয়ারম্যানের ক্ষমতার বলে হচ্ছে না নিয়ম মাফিক কাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান গতবারের খালের আড় ছিলো ৩০ ফিট কিন্তু চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে খাল খননের অনিয়ম করছে। লোক দেখানো কয়েকজন লিবার নিয়ে হাত কোদাল দিয়ে খননের কাজ করছে।
বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার তাপসী রানী বলেন আমাকে জোর করে প্রকল্পের সভাপতি বানানো হয়েছে। আমি সভাপতি হলেও আমি কাজের সম্পর্কে কিছু জানি না। চেয়ারম্যান ঐ সময় আমাকে প্রকল্পের সভাপতি করেছিল। এখন সে নিজে কাজ করছে। তবে কাজ শেষ হলে হয়তো সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপ বলেন চৈত্র মাসে কাজ শুরু করার পরে এস্কেভেটর দেবে যাচ্ছিল। এজন্য কোদাল দিয়ে এস্কেভেটর যাওয়ার রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। জোর করে মহিলা মেম্বারকে প্রকল্পের সভাপতি করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন লোক না পাওয়ায় পরবর্তীতে মহিলা মেম্বারকে প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে। তবে ৩০ তারিখের পরে সঠিক কাজ হয়েছে বলে দেখতে পাবেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম জানান আমি এমন ঘটনা শুনেছি। সরজমিনে যেয়ে কাজ দেখে আসবো।