খান আতাউর রহমান লিটন, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : তালার নাংলা গ্রামে ৮বছরের এক শিশুকে পাটক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার পর জনতা মনিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শিশু কন্যাটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার পর শিশুটি ভয়ে আতংকিত ও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শিশুটির দাদী জানান, মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকালে তাদের নাংলা গ্রামের বাড়িতে পার্শ্ববর্তী উথালী গ্রামের আব্দুস সামাদ গাজীর ছেলে মনিরুল গাজী (২৭) বেড়াতে আসে। পরে সে চলে যাবার পর থেকে শিশু নাতনিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর ২ঘন্টা পর শিশুটি বাড়ি ফিরে আসে এবং রাত ১০টার দিকে লোকমুখে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা জানতে পারি। উথালী গ্রামের মাসুদ জানান, মনিরুল গাজী একজন চিহ্নিত লম্পট। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ওই শিশুটি সম্পর্কে মনিরুলের ভাগ্নি হওয়ায় তারা একে অপরের পরিচিত। মঙ্গলবার বিকালে খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে আসে। বাড়ি থেকে নির্জন স্থানে আনার পর লম্পট মনিরুল একটি পাটক্ষেতের মধ্যে নিয়ে ওই শিশুকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই পাটক্ষেতের পাশে গ্রামের মহিলারা ছাগলের ঘাস খাওয়াতে নিয়ে গেলে তারা বিষয়টি বুঝতে পারে। এসময় মহিলারা এগিয়ে গেলে মনিরুল শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।
শিশুটির পিতা জানান, বিকাল থেকে ২ ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পর সন্ধ্যায় মেয়ে বাড়িতে আসে। রাত ১০টার দিকে জানতে পারি মনিরুল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মনিরুল সম্পর্কে তাঁর শ্যালক বলে জানান। তালা থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হবার পর লম্পট মনিরুল তার বাড়িতে এসে লুকিয়ে পড়ে। এসময় গ্রামের শতাধিক মানুষ বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। এঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাত বাড়ি থেকে মনিরুলকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়ে স্বীকার করেছে। এঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে তালা থানায় মামলা করেছেন। যার মামলা নং ৮, তারিখঃ ২৫/০৬/২০২৫ইং।