জি এম ফিরোজ উদ্দিন, মনিরামপুর প্রতিনিধি : ফুলের দেশ, ফলের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এখানে বিভিন্ন ঋতুতে অসংখ্য ফলের সমাহার ঘটে।এই অসংখ্য ফলের মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। মধুমাসের ঘনঘটায় যশোরের মনিরামপুরের গাছে গাছে মম ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে গ্রীস্মের মিষ্টিগুণ সম্পন্ন রসালো ও জাতীয় ফল কাঁঠাল। কাঁঠাল পাকার পর পর এর মিষ্টি গন্ধে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। গাছের চারপাশে পাখি ও কীটছুটে আসে এর স্বাদ নিতে। প্রকৃতি যেন অপূর্ব সাজে সাজিয়েছে কাঁঠালে কাঁঠালে।
প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে মগডাল পযর্ন্ত ঝুলছে কাঁঠাল। শহর থেকে গ্রামঞ্চল পযর্ন্ত প্রত্যেকটি বসতবাড়ীর আনাচে কানাচে, রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে, বিলে গাছে গাছে ধরেছে অসংখ্য কাঁঠাল। এইতো জ্যৈষ্ঠ মাস পেরিয়ে আষাঢ় মাস এলে মন কাড়ানো লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখোর হয়ে উঠবে। গ্রামের প্রতিটি আঞ্গিনা ও হাট বাজার। পাকা কাঁঠাল খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচা কাঁঠাল ও বিচি মানুষের কাছে তরকারি হিসাবে ও বেশ জনপ্রিয়।
কাঁঠালের বিচি তে প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর খাবার। শুঁটকির মিশ্রণে এর ভর্তা সবার কাছে অতি জনপ্রিয় এবং মুখরোচক।আবার এই ফল কাঁঠালের কাঁচা পাকা উচ্ছিষ্টাংশ গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাতে করে কাঁঠালের কোন আংশ ই পরিত্যক্ত থাকে না। ইতোমধ্যে বাজারে বাজারে পাকা আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, খেজুর সব উঠতে শুরু করেছে। মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে মো রাজ্জাক মোল্যা জানান তার কয়েক টি গাছে প্রচুর কাঁঠাল, আম ধরেছে।