শিমুল পাল, বুধহাটা : আশাশুনি উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র বুধহাটা বাজারের অভ্যন্তরীণ সড়কের বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হওয়ায় এবং ইটের কার্পেটিং সড়ক নিচু হওয়ায় সড়ক গুলো ময়লা ও কাদামাটিতে একাকার হয়ে আছে। ফলে সড়কে চলাচলে জনসাধারণের ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বুধহাটা বাজারের চাউল চান্নি সড়ক, কাঁচাবাজারের মসল্লা চান্নি সড়কসহ বাজারের অভ্যন্তরীণ সড়ক গুলো নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে গেছে।
একটু বৃষ্টি হলে বাজারের মধ্যে হাটু পানি হয়। যার ফলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের ভোগান্তির অন্ত থাকে না। স্থানীয় গ্রাম ডাক্তার রেজাউল্লাহ জানান, খলিল এর মুদি দোকান থেকে সুমঙ্গল দেবনাথের রাইস মিল গামী সড়কটি বর্তমানে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়কে পাশ্ববর্তী লোকালয় থেকে বাসাবাড়ির ব্যবহৃত দূর্গন্ধযুক্ত নোংড়া পানি সড়কের পাশে জমে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি করছে। দূর্গন্ধযুক্ত নোংড়া পানির গন্ধে উক্ত সড়কের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
শিশুদের মঝে ডায়রিয়া সহ নানান রোগ দেখা দিচ্ছে। তিনি অতি দ্রæত সড়কটির সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী রিপন হোসেন বলেন আশাশুনি উপজেলা সর্ব বৃহৎ ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র বুধহাটা বাজার। অত্র এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারী মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বুধহাটা বাজারে গমন করে থাকেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বুধহাটা হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জুলু বলেন, বুধহাটা বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর বুধহাটা বাজার থেকে ২০লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকেন। কিন্তু আদায়কৃত অর্থের একাংশও এ বাজারের উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয় না। যে কারণে বাজারটি এখনও অবহেলিত হয়ে রয়েছে। হাট বাজার কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি, বর্ষার আগেই বাজারের সব ড্রেনেজ গুলো পরিষ্কার করা হবে এবং যে সকল স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাই, সে সকল স্থানে ড্রেনজে ব্যবস্থা করা হবে।