কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতাসহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকাজুড়ে তাঁতশিল্প সম্ভাবনাময় স্বপ্ন দেখছে। বিগত ৫০ বছর যাবৎ এ অঞ্চলে তাঁতশিল্পের প্রচলন থাকলেও বর্তমানে এ শিল্পের ব্যাপক প্রসার পেয়েছে। নলতা সহ জেলা জুড়ে এ কাজ দেকভাল করার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলায় মাত্র ২টি বেসিক সেন্টার অফিস ও ১ জন মাত্র সরকারী কর্মচারী আছে।
যার জন্য দেশখ্যাত এ শিল্পের কাজটি উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আলমগীর হোসেন ৫জুলাই বুধবার বেলা ২টার দিকে কালিগঞ্জের নলতায় বেসিক সেন্টারটি (তাঁতবোর্ড) সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় অফিস ও বেসিক সেন্টার প্রাঙ্গণ অনেকটাই জরাজীর্ণ দেখা যায়।
উপ-সচিব অফিসিয়াল বিষয়াদি দেখার পর এখানকার জরাজীর্ণ অফিস ও প্রাঙ্গণ নিয়ে ইনচার্জকে বিভিন্ন পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন। বেসিক সেন্টারের ইনচার্জ মো. জিলান বলেন, এগুলো সংস্কার করতে কোন সরকারী অর্থ পাই না, তাছাড়া এই বেসিক সেন্টারের জন্য বর্তমান ডিজিটাল সময়ে কম্পিউটার অপারেটর, ফিল্ড ম্যানেজার ও অফিস সহকারী হিসাবে জনবল নিয়োগ খুবই জরুরী। না হলে সরকারের এ শিল্প খ্যাতটি হুমকির মুখে পড়তে পরে বলে তিনি জানান। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত সাংবাদিক সহ স্থানীয়রা বলেন, সরকারের সুদৃষ্টির অভাবে বিশাল এই বেসিক সেন্টার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
দেখাশুনার লোক নেই। তাঁতশিল্প বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অত্র এলাকার তৈরি এ শিল্পের মালামাল সারাদেশের হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে সাপ্লাই হয় এমনকি দেশের বাইরেও যায়। তাই সরকার যদি সুদৃষ্টি দেয় তবেই এই তাঁতশিল্প সাতক্ষীরা সহ দেশে সম্ভাবনাময় শিল্পে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।
এসময় উপ-সচিব আলমগীর হোসেন বলেন, এ সরকার সব খ্যাতেই ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং করবে। সরকারের দৃষ্টিতে নিতে পারলে তাঁতশিল্পেও অবশ্যই উন্নয়ন হবে, এগিয়ে যাবে। এজন্য আমি যতদিন সরকারের এই সেক্টরে দায়িত্বে আছি, এখানে ভাল কিছু কাজের দৃশ্যমান করার চেষ্টা করব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।