বিলাল হোসেন : শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী বাজারের ভেড়া মার্কেট সংলগ্ন ¯øুইস গেটের পাশে সরকারি জায়গার বড় দুইটি ফুল গাছ কর্তন করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এক অবৈধ দখলদারের উপর। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় আটুলিয়া ইউনিয়নধীন সাপেরদুনে গ্রামের মৃত্যু: আব্দুল আজিজ মাঝির ছেলে মহসিন হোসেন নওয়াবেঁকী বাজারে নদীর কিনারায় বহুকাল ধরে বেড়েওঠা গাছ কর্তন করে পেরিফেরী ভ‚ক্ত বিশাল জায়গা জুড়ে বহুতল ভবন করার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী রিতিমত কাজ শুরু করেছে।
কাজ এগিয়ে নিতে বাহিরের গেটে বড় তালা মেরে সেখানে রাত দিন কাজ করছে ৪ জন শ্রমিক। তবে তাদের কাছে গাছ কাটা সহ অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা যেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। পরে অবস্থা বেগতি দেখে সু কৌশলে সটকে পড়ে শ্রমিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানায় গত বেশ কিছুদিন আগে প্রকাশ্য-দিবালোকে ছোট বড় কয়েকটি গাছ কেটে রাতারাতি সরিয়ে ফেলেছে মহসিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
পরবর্তীতে বিষয়টি আটুলিয়া ইউনিয়ন তফসিলদার জানতে পারলে অফিসের কর্মরত লোকজন পাঠিয়ে দিয়ে কাজ বন্ধ করে এবং কাজ করা শ্রমিকদের ব্যবহারিত কোদাল ও কুড়াল জব্দ করে। তবে সেটিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নী, কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতার বলে পূনরায় কাজ শুরু করে দখলদার মহসিন।
এ ব্যাপারে গাছ কর্তন ও অবৈধ স্থাপনা নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে মহসিন হোসেন বলেন, আমি গাছ কাটছি সরকারী জায়গা থেকে সরকারী লোকজন বুঝবে আমি অন্য কারো কাছে জবাব দেব না। আটুলিয়া ইউনিয়নের তফসিলদার মো. মোশাররফ হোসেনের কাছে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওখানে কাজ হচ্ছে জানতে পেরে ভ‚মি অফিস স্টাফদের পাঠিয়ে ঐ কাজ তাৎক্ষণিক বন্ধ করা হয় এবং দুদিনের ভিতরে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যথায় সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় জনতা গাছ কেটে পাকা স্থাপনা নির্মানকারীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির জন্য স্থানীয় প্রশাসন, উপজেলা ভ‚মি অফিসারদের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। এদিকে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হবে এই কথা শুনে প্রথমে এলাকার মাতব্বর মারফত সংবাদ প্রকাশে বাধা সৃষ্টি, সেই সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে প্রথমে হুমকি পরবর্তীতে ম্যানেজ করার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে মহসিন হোসেন।
প্রসঙ্গত: নওয়াবেঁকী বাজারের পেরিফেরিভুক্ত জায়গায় ইজারা শর্ত ভঙ্গ করে গড়ে উঠেছে নকশা বহির্ভুত শতাধিক পাকা স্থাপনা। কোন কোন জয়গায় ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে বরাদ্দের তুলনায় বেশী জায়গা দখল করে নেয়া হয়েছে। আবার পেরিফেরিভুক্ত জায়গায় স্থাপনা নির্মানের শর্ত লঙ্ঘন করে দোতলা ও তিনতলা ভবন পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শতশত অবৈধ স্থাপনা থাকার সত্তে¡ও উচ্ছেদের জন্য স্থানীয় ভুমি সহকারী কর্মকর্তার দপ্তর হতে মাত্র দু’জনের বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অপলেলা ও নৈরাজ্য চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে যেন নিরব ভ‚মিকায়।
