দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় দীর্ঘদিনের চলাচলের পথ বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে গোলযোগের জেরে দায়েরকৃত মামলা থেকে রেহাই পেতে রাকেশ দাস (৩৫) নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার সকালে দেবহাটা প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। ভুক্তভোগী রাকেশ দাস উপজেলার কোমরপুর গ্রামের কিশোরী মোহন দাসের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা মৌজার ডিএস খতিয়ান- ৫৫৬, হাল দাগ- ৫১৪ জমির উপর দিয়ে স্থানীয় জনসাধারনের চলাচলের একটি মেঠো রাস্তা ছিল। যদিও জমিটি উত্তর কোমরপুরের অনিল দাসের পরিবারের নামে রেকর্ডীয়, তবুও ওই পথটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছিল স্থানীয়রা। কিছুদিন আগে জমির মালিকপক্ষ ওই চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়।
এতে বিপাকে পড়েন সেখানে বসবাসরত অন্তত ৩৫টি কাহার স¤প্রদায়ের পরিবার। এনিয়ে অনিল দাসের পরিবারের সাথে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগে অনিল দাসের স্ত্রী জবা রানী দাস গালিগালাজ, হুমকির অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা সদর থানায় ৭৪৬ নং একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে সদর থানার এএসআই শরিফুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরীটি তদন্ত করে ১৩ মে ৩২৩/৫০৬ (২) পিসি ধারায় ননএফআইআর প্রসিকিউশন- ৪৯/২০২৩ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রাকেশ দাস ছাড়াও তার কাকাতো ভাই ধ্রæব দাস, প্রতিবেশি অমল কাহার ও কমল কাহারকেও আসামী করা হয়। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে না থাকা স্বত্তে¡ও তাকে আসামী করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন রাকেশ দাস। তিনি উদ্দেশ্য প্রনোদিত এ মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন ও সাতক্ষীরা বিচার বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।