বিলাল হোসেন, শ্যামনগর : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেনকে জনসমক্ষে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে লাঞ্চিত করার অভিযোগ ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।
১২ ই অক্টোবর বুধবার বেলা ১০ টায় আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের হাওয়ালভাঙ্গী ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম তালিকা প্রণয়নকে কেন্দ্র করে ঐ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন জনসমক্ষে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ ও দায়ের করেছে গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর।
অন্যদিকে, স্থানীয় মেম্বার মোঃ শহিদুল ইসলাম শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাল্টা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান যে, ৬ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা ও বিভিন্ন অনুদানের কথা বলে ১৯ জনের কাছ থেকে মাথাপিছু ৫০০ টাকা করে নেয়। এই বিষয়টি তার কাছে জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর আমাকে মারমুখী হয়ে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করে।
সে ইউপি সদস্য হিসেবে তার মান-সম্মান নষ্ট করেছে সেজন্য এই দুর্নীতিবাজ গ্রাম পুলিশের সরকারি বিধি মোতাবেক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচার চেয়েছেন তিনি। ওই ওয়ার্ডের অনেকের মধ্যে দুইজন বাসিন্দা, নবাব আলী ও রজব আলী বলেন, ওই দিনের ঘটনায় সময়ে আমরা উপস্থিত ছিলাম। গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর বিভিন্ন অনুদান ভাতা দেওয়ার নাম করে ১৯ জনের কাছ প্রতিজনে ৫০০ টাকা করে নিয়েছে।
সেজন্য শহিদুল মেম্বার গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীরকে ডেকে শোনা বোঝা করার জন্য ডাকলে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মেম্বারকে মারার জন্য উদ্যত হয়। এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামের ভিতরে নানান ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। গ্রামবাসী প্রকৃত ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার দাবি জানিয়েছেন।