রবিবার , ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

পাইকগাছায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিন-রাত বালু উত্তোলন

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
আগস্ট ২৭, ২০২৩ ১১:১৭ অপরাহ্ণ

নজরুল ইসলাম, পাইকগাছা : ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিন-রাত বালু উত্তোলন করায় পাইকগাছার রাড়ুলী ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী জেলে পল্লীতে আবারও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। একারণে ভাঙনক‚লের প্রায় ২ শতাধিক পরিবার ভিটেবাড়ি হারিয়ে যাযাবর জীবন যাপন করছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকাবাসী জানিয়েছেন। খুলনার দক্ষিণাঞ্চলে পাইকগাছার রাড়ুলী একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এখানে জগদ্বিখ্যাত আচার্য বিজ্ঞানী স্যার পিসিরায় এর জন্মভিটা। কপোতাক্ষের করালগ্রাসে বিখ্যাত বিজ্ঞানীর জন্মস্থান রাড়ুলী হুমকির মূখে।

সরজমিনে এসকল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার রাড়ুলি ইউয়নের জেলে পল্লী এলাকায় অবস্থিত কপোতাক্ষ নদে প্রতিবছর ন্যায় আবারও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে যে ক্ষতি হয় তার থেকে মানুষ্য সৃষ্ট কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। প্রশাসন কে ফাঁকি দিয়ে মাটি খেকো চক্র একাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন-রাত ভাঙন কুল থেকে মাটি, বালু উত্তোলন করছে। ফলে এভয়াবহ ভাংগন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কথা হয় স্থানীয় ইউপি মেম্বর ইলিয়াস হোসেন, প্রভাষক মোমিন উদ্দিনের সাথে কথা হলে উনারা জানান, পার্শ্ববর্তী মিনারুল ও ডালিম সরদারের ইটের ভাটার জন্য প্রতিবছর ড্রেজার মেশিন দিয়ে এ নদ থেকে যাবতীয় মাটি ও বালু উত্তোলন করে। এর সাথে যখন নদীতে একটু পানির চাপ বাড়ছে তখনই দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। গত ৭ বছর ধরে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। এ কারণে ২ শতাধিক পরিবার ভিটে বাড়ী ছাড়া হয়েছে। যাযাবরের জীবণ যাপন করছে অন্যত্র। কেউ চলে গেছে খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে। বর্তমান ৬০-৭০ টি পরিবার আতংকে রয়েছে।

প্রতিবছর ভাংগনে কারোর বসত ঘরের ধ্বসে গেছে, কারোর গাছ-গাছালী , কারোর আধা-পাকা ঘরের অংশ ঝুলছে। কারোর খড়ের গাদা, রান্না ঘর সহ ভেসে গেছে ফসলের ক্ষেত। কোথাও পুরো রাস্তা। কোথাও দু’চারটি ইট জানান দিচ্ছে এখানে রাস্তা ছিল। লবনাক্ততার কারণে ফসল নষ্ট হচ্ছে। অতিসত্ত¡র ড্রেজার মেশিনে মাটি, বালু উত্তোলন বন্ধ ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে রাস্তা সহ বাকী পরিবার গুলোর ঘরবাড়ী এবং ফসলী জমি নদেগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এব্যাপারে ভাটা মালিক মিনারুল ইসলাম বলেন, উপজেলার তালা থানার শাহজাতপুর গ্রামের ভুট্টু’র কাছ থেকে হারিতে নেয়া যে জমি নদীতে চলে গেছে সে জমি থেকে মাটি কাটছি। এদিকে, দ্রæত ভাঙন রোধ না করা হলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙনের তীব্রতার কারণে পানি ঢুকে বিশাল এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে । বালু খেকোদের বিরুদ্ধে ও ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে জেলা তথ্য অফিসের সচেতনতা মূলক নারী সমাবেশ

কলারোয়ায় ইমাম ও খতিবদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও নতুন কমিটি প্রকাশ

আশাশুনিতে জেলা তথ্য অফিসের “প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার” শীর্ষক মহিলা সমাবেশ

বাক প্রতিবন্ধী সুমাইয়া শিক্ষা গ্রহণ করে স্বাধীন হতে চায়

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু নাসিম ময়নাকে স্মরণ

বিসিএস শিক্ষক ক্যাডারদের বিক্ষোভে বিক্ষোভে উত্তাল কর্মবিরতির তৃতীয় দিন

কালিগঞ্জের পল্লীতে অগ্নিকান্ডে বসতঘরসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র উদ্বোধন

ভাল ফলাফল অর্জনে নিয়মিত পাঠ গ্রহণের বিকল্প নেই : প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

আমরাবন্ধু’র উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান