সকাল ডেস্ক : সাতক্ষীরায় ছোট বৌয়ের উস্কানিতে ফুড অফিসের সাবেক গাড়ী চালক আব্দুল হামিদ কর্তৃক পঞ্চার্ধ্ব প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সদর উপজেলার বল্লী আমতলা গ্রামের অমেদ আলী গাজীর কন্যা ভুক্তভোগী শান্তি বিবি।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আনুমানিক ৩৫ বছর পূর্বে সাতক্ষীরা ফুড অফিসের সাবেক গাড়ী চালক আব্দুল হামিদের সাথে আমার বিবাহ হয়। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন। দীর্ঘ সাংসারিক জীবনে স্বামী আব্দুল হামিদ বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসলেও নিরবে সহ্য করে আসছিলাম। তার ঔরশে আমার গর্ভে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
এখান থেকে আনুমানিক ১৫ বছর পূর্বে গোপনে ফাতেমা খাতুন নামে এক নারীকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন এবং আলীপুরের পাঁচআনী এলাকায় জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকেই আমার পরিবারের অশান্তি শুরু হতে থাকে। ওই দ্বিতীয় স্ত্রীর উস্কানিতে স্বামী আব্দুল হামিদ মধ্যবয়সে এসে তুচ্ছ ঘটনায় মারপিট, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নানান অত্যাচার করতে থাকেন।
এমনকি ওই কুচক্রী দ্বিতীয় স্ত্রী ফতেমার কু পরামর্শে আমার সন্তানদের সম্পত্তিসহ পৈত্রিক সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত শুরু করেন। যদিও দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমার কোন সন্তান নেই। একপর্যায়ে আমার একপুত্র ও কন্যাকে দেখাশোনাই বন্ধ করে দেন। এরপরও আমি স্বামী আব্দুল হামিদের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলাম।
গত ১৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে আমার কন্যা এবং আমি সেখানে ছিলাম। কুচক্রী দ্বিতীয় স্ত্রীর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে স্থানীয় জামায়াত বিএনপির ক্যাডার আহছান মাস্টার, সাইদুল ইসলাম, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন, সাঈদ, আজগর আলী ও বাবুসহ অজ্ঞাত ভাড়াটিয়া লোকজন আমাকে এবং আমার কন্যার উপর অতর্কিত হামলা করেন।
এসময় তারা আমার কন্যা এবং আমাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এদের মধ্যে আহছান মাস্টার ও মাদক ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন আমার কন্যার পরনের কাপড় চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটান। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করেন। ওই হামলার পর আমার স্বামী প্রকাশ্যে আমাকে এবং আমার কন্যাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বলেন, এখানে তোদের আর কোন জায়গা নেই। তোরা বেরিয়ে যা।
এবিষয়ে আমার কন্যার জামাতা প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্য আহছান, সাইদুল ও মাদক ব্যবসায়ী সোহরাব হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করেন। এদিকে, এ ঘটনা আচ করতে পেরে গত ১৪/১০/২০২২ তারিখে আমি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। যার নং ৮৭৫। তিনি আরো বলেন, আমার বয়স প্রায় ৫০ এর উপরে এই বয়সে আমি এখন কোথায় যাবো। এছাড়া আমার জামাতাকে হুমকির পর থেকে কন্যার সংসারেও অশান্তি শুরু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ওই পর সম্পদলোভী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।