রবিবার , ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

কপোতাক্ষ নদের ভাঙনে নির্ঘুম রাত পার করছে ১০ পরিবারসহ এতিমখানার শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
নভেম্বর ১২, ২০২৩ ১১:০২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙনের ঝুকিতে একটি এতিমখানার অর্ধশতাধিক ছাত্রও ১০টি পরিবার নির্ঘুম রাত পার করছে। বিলীন হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ, কবরস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পাটকেলঘাটা থানা সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে দলুয়া আচিমতলা নামক স্থানে নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় গত ৮ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত রহমতুল্লাহ আওরঙ্গী এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ৬০ জন ছাত্র আবাসিক ভাবে লেখাপড়া শিখলেও তাদের শিশুমনে বর্তমান মানষিক বিকাশে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।

অনুসন্ধানের সময় নদেও ভাঙন উপকূলে বসবাসকারী সোহরাব উদ্দীন, আব্দুল গফফার মোড়ল, মিন্টু মোড়ল, মোজাফফর মোড়ল, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সবুর সহ ভুক্তভোগীরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, কপোতাক্ষ নদের ভাটী অঞ্চল আচিমতলা নামক স্থানে নদ পুনঃখননের সময় মূল নকশা অনুযায়ী খনন না করে প্রবাহিত অঞ্চল দিয়ে নদ খনন করায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে নদের অপরপ্রান্ত কুমিরা আচিমতলা এলাকায় ভ‚মি গঠন সহ বিস্তীর্ণ চর জেগে উঠছে।

এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকা আচিমতলার অধিবাসীদের পৈত্রিক ভিটাবাড়ী সহ আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। ভুক্তভোগীরা আক্ষেপের সাথে আরো জানান, আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হলেও বিন্দুমাত্র দুঃখছিলনা।

বর্তমান ভাঙনের মাত্রা এতটাই তীব্র যে সরাব উ্দ্দীন মোড়ল, মোজাফফার মোড়ল, আশরাফ আলী মোড়ল, আব্দুল আজিজ মোড়ল সহ আব্দুর রাজ্জাক মোড়ল গংদের পরিবারের ৫০ জনও এতিমখানার ৬০ জন ছাত্রদের রাত কাটছে চরম আতঙ্কে। এতিমখানার ছাত্র সহায় সম্বলহীন রাকিব হোসেন (১৩) ইব্রাহিম হোসেন (১৪), মেহেদী হাসান (৯), হাবিবুল্লাহ (১২) এ প্রতিবেদককে কান্না জড়িত কন্ঠে জানায়, পিতামাতা নেই!

বুদ্ধিজ্ঞান হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসা প্রঙ্গাণই ঘরবাড়ি মা বাবা। যখন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিলাম সে সময় মাদ্রার পিছনে নদের ধাওে গাছ-গাছালী সহ পর্যাপ্ত জায়গাছিল। তা এখন ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আমাদের ক্লাসরুম সহ থাকার ঘর কখন জানি নদে ভেঙ্গে পড়ে এ ভয়ে ঘুম আসেনা! কোমলমতী এ সকল শিশুদের আতংক গ্রস্ত মলিন চেহারা শক্তি এক বেদনা বিদুর দৃশ্যে পরিণত হয়। দিন যায় রাত আসে প্রতিদিনই নদ ভাঙ্গসে তো ভাঙ্গছে।

এ ভাঙনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ততকালীন ঈদগাহ, কবরস্থান বিলীনের পথে। এর থেকে পরিত্রাণে ২০২৩ সালের আগষ্ট মাসে ক্ষতিগ্রস্থরা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করলেও এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকরিতা নাহওয়ায় স্থানীয়দের দিন কাটছে চরম উৎকন্ঠায়। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম¥দ হুমায়ূন কবীর অতি দ্রæত ভাঙন রক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা নিবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর