১/১১ শেখ হাসিনা’র মুক্তির দাবিতে গ্রেফতার হওয়া মোস্তাকিমকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায় সাধারণ মানুষ
শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো : দীর্ঘ কয়েক যুগ থেকে সাতক্ষীরা ৩ আসনের সাধারণ মানুষের আশা ভরসার এক বিশ্বস্ত নাম এবিএম মোস্তাকিম। অতি সাধারণ তার জীবন যাপন, যিনি নিজে না খেয়ে অন্যকে খাওয়াতে ভালোবাসেন, তিনি ঝড় বর্ষার দিনসহ প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিশে থাকেন উপক‚লীয় সাধারণ মানুষের সাথে।
শোনেন তাদের সুখ দুঃখের কথা, তিনি বসবাস করেন আশাশুনি উপজেলা বাসির হৃদয়ের অন্তরস্থলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ, উপজেলা বাসীর একমাত্র আশ্রয়স্থল, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বারবার নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপক‚লীয় আসন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাধারণ মানুষের জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব এ বি এম মোস্তাকিম।
আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা আমলে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সর্ববৃহৎ এরিয়া আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সাতক্ষীরা ৩ আসনে মনোনয়নের জন্য যারা মাঠে কাজ করছেন তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এবিএম মোস্তাকিম, আর এমন দাবি তৃণমুল নেতাদের।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি জনসাধারনের সূখ-দুঃখের সাথী হিসেবে পাশে থাকার কারনে আশাশুনির মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে বেশ পরিচিত। দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাকে মানে ও শ্রদ্ধা করে। আশাশুনি উপজেলায় আওয়ামী লীগের শক্তিশালি ভোট ব্যাংক তৈরি করেছেন তিনি।
বিগত ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মুক্তির আন্দোলন করায় এবিএম মোস্তাকিম তৎকালীন সময়ে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে কথাবলে ও একাধিক সূত্রে জানাগেছে ত্যাগী ও পরিক্ষিতদের মূল্যায়ন হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে পারেন তিন তিন বারের নির্বাচিত আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম।
২০১৩-১৪ সালে আশাশুনিতে জামায়াত বিএনপি’র জ্বালাও পোড়াও নৈরাজ্যকে কঠোর হস্তে দমন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জামায়াত বিএনপি জ্বালাও, পোড়াও, অগ্নিসংযোগ, মিছিল, মিটিং, অবরোধ কর্মসূচি পালন করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ এবিএম মোস্তাকিম মাঠে থাকায় জামাত-বিএনপির কোনো নৈরাজ্যই বাস্তবায়ন হয়নি এ উপজেলাতে।
বর্তমানে তিনি আশাশুনি উপজেলাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করেছেন। সাতক্ষীরা-৩ আসনের আশাশুনি উপজেলাটি উপক‚লীয় অঞ্চল হওয়ায় নদীর বেড়ীবাঁধ ভাঙন রক্ষার্থে হিমশিম খেতে হয় এ উপজেলা সাধারণ মানুষের। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের ছোট বড় নদীর বেড়ীবাঁধ।
আর এ সকল অঞ্চলে ঝড় বর্ষার দিনে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপক‚লীয় মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে তাদের সাথে মিশে থাকেন জননন্দিত নেতা এবিএম মোস্তাকিম। নদীর বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন, প্লাবিত হওয়া, পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন, গৃহহীন বা ভ‚মিহীন হলে, অর্থের অভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হলে অথবা অসহায় গরিব পরিবারের কন্যাকে বিয়ে দিতে না পারলে নিজের অর্থে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে থাকেন গরিবে নেওয়াজ নামে খ্যাত আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম। নিঃস্বার্থে সাধারণ মানুষের পাশে থাকায় সাতক্ষীরা ৩ আসনের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের হৃদয়ের ঠাঁই মিলেছে তার।
সাতক্ষীরা-৩ আসনের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ তাদের হৃদয়ের অন্তরস্থলে বসবাস করা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মহান সংসদে দেখতে চায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে করোনা কালীন সময়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে এ আসনের সাধারণ মানুষের নিরাপদে রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম। দিনে ও রাতে গোপনে ও প্রকাশ্যে খাদ্য সহায়তা সাথে নিয়ে অসহায় মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
মহামারী করোনার হাত থেকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন গরিবের বন্ধু হিসেবে সুপরিচিত এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী এবিএম মোস্তাকিম। স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দিক নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে সুপরিচিত সাতক্ষীরা-৩ আসনের আশাশুনিতে বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও আওয়ামী লীগের হেবিওয়েট প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিম।
এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বচিত্র প্রতিবেদন লিফলেটে তুলে ধরে গণসংযোগ, মিছিল, মিটিং ও পথসভা করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ এবিএম মোস্তাকিম।
আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু বলেন, ত্যাগী, কর্মীবান্ধব ও বিনয়ী স্বচ্ছ এই রাজনৈতিক নেতার মূল্যায়ন দরকার। তিনি ২০০১ সাল থেকে মাঠে আছেন। তার প্রতি তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক আস্থাশীল। বিপদে-আপদে পাশে থাকা ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচীতে সবার আগে উপস্থিতি এবং সামাজিক ও সেবামূলক কাজ করেন বলেই তিনি এত জনপ্রিয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম জনপ্রিয়তায় এখন সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বলে দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবি। আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আবু হেনা শাকিল, দপ্তর সম্পাদক ও বড়দল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজ্জাদুল হক টিটুল, আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, মিকাইল ইসলাম বলেন সাতক্ষীরা ৩ আসনে নৌকার বিজয় আনতে হলে এবিএম মোস্তাকিমের বিকল্প নেই।
তিনি যেমন সাহসি, তেমনি পরিশ্রমি এবং তৃনমূলের আস্থার কান্ডারি। তারা আরো বলেন বিগত ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা, অবরোধ, অগ্নি সংযোগ, হত্যা করে রাস্তা কেটে দেশ থেকে সাতক্ষীরাকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। সে দিন বর্তমান সাংসদ এলাকায় না থাকলেও তৃণমূল আওয়ামীলীগের আস্থাভাজন এবিএম মোস্তাকিম স্ব-শরীরে মাঠে থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে লাঠি মিছিল করে হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।
নির্যাতিত নেতা-কর্মী ও হিন্দু পরিবারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিয়েছিলেন। বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জামাত-বিএনপির নৈরাজ্য সৃষ্টি হলেও সাতক্ষীরা-৩ আসনের আশাশুনি উপজেলাতে জামাত বিএনপির কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেননি আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ এবিএম মোস্তাকিম। দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি পরিক্ষিতদের যোগ্য মূল্যায়ন করেন তাহলে সাতক্ষীরা-৩ আসনে নৌকার টিকিট মোস্তাকিমের হাতেই উঠবে বলে মনে করেন তারা।
মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম বলেন, মনোনয়নের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদি। দলের জন্য ও সাধারন মানুষের কল্যানে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সাধারণ মানুষই তার ক্ষমতা ও শক্তির উৎস। ২০০৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শুধুমাত্র আশাশুনি উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল সাতক্ষীরা-৩ আসন।
তখন প্রাণ-প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা এ আসন থেকে এবিএম মোস্তাকিমকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে তৎকালীন তত্ত¡াবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেন।
সে সময় শেখ হাসিনা’র মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করায় যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন এবিএম মোস্তাকিম। বিগত দিন থেকে অদ্যবদি নৌকার জন্য মানুষের দারে দারে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছে তিনি। যদি নেত্রী যোগ্যমূল্যায়ন করেন তাহলে ইনশাল্লাহ দলীয় টিকিট পেয়ে সাতক্ষীরা ৩আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন হেভিওয়েট এ প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিম।