সুব্রত কুমার গোলদার, (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরার পল্লীতে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল ও টয়লেট থেকে ইলেকট্রিক মটর চুরির খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে খাজরাসহ আশপাশের এলাকায় চুরির উপদ্রব অধিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মসজিদ থেকেও সোলার প্যানেলের ব্যাটারি চুরির হিড়িক পড়েছে। এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে এক প্রকার ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারনা মাদকসেবীদের মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য এমন চুরি সংঘটিত হচ্ছে। রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ৫৮ নং খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের টয়লেটের পাশে টিউবওয়েলের উপরের অংশ নেই। টয়লেটের ভেতরে সংরক্ষিত একটি চালু ইলেকট্রিক মটর( সেচ পাম্প) নেই।
ধারনা করা হচ্ছে রবিবার রাতের কোন এক সময়ে সংঘবদ্ধ চোর চক্র টয়লেটের সেফটি জানালা দিয়ে টয়লেটের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে মটর খুলে সেফটি জানালার ফাক দিয়ে বের হয়ে গেছে। সকালে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী জাকারিয়া ইসলাম টয়লেটের দরজা খুললে বিষয়টি জানাজানি হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবারে আমরা বিদ্যালয় শেষ করে টয়লেটের দরজা তালাবদ্ধ করে রেখেছিলাম।
দুই দিন স্কুল সরকারি ছুটি থাকায় আজ রবিবার স্কুলে এসে জানতে পারলাম কে বা কারা একটি টিউবওয়েল ও ইলেকট্রিক মটর চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান,রাতের বেলায় বিদ্যালয়ের বারান্দায় স্থানীয় বখাটে ছেলেরা আড্ডা দিত বলে আমি জানতে পারি। এবিষয়ে নৈশ প্রহরী জাকারিয়া ইসলাম বলেন,আমি নিয়মিত ভাবে রাতে বিদ্যালয়ে দেখাশুনা করি। বারান্দার ইলেকট্রিক বাতিগুলো হঠাৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রবিবার ভোর রাতে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমার মনে হয়।
এবিষয়ে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম বলেন,আমার এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে চোরের উপদ্রব বেশি হয়েছে। আমি নিজেই কিছু দিন আগে দুই চোরকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করেছি। মসজিদের ব্যাটারি চুরের সংবাদও পেয়েছি। চোর নির্মুলে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এ চুরির ঘটনা কে কেন্দ্র করে খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান আশাশুনি থানায় জিডির প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।