শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় আঁখি ভাটা উদ্বোধনের পর থেকে ক্রমস ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে শুরু করেছে। স্থান করে নিয়েছে সাধারণ মানুষের অন্তরে। সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন আঁখি ভাটা কর্তৃপক্ষ। আঁখি ভাটার সুনাম এখন অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। কুল্যার আমতখালী বিলে ভাটাটি স্থাপনের পর থেকে কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন শত শত অসহায় পরিবার।
এলাকার উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে আঁখি ভাটা কর্তৃপক্ষ। কুল্যার হাবিলের মোড় থেকে রাজবংশী পাড়ার যাতায়াতের গ্রামীণ সড়কটি দীর্ঘদিন মেঠো সড়ক হওয়ায় বর্ষার দিনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো অত্র এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী সহ সকলের। বৃহৎ আমতখালী বিল থেকে ধান পরিবহন করতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হতো কৃষকদের।
আঁখি ভাটা স্থাপনের পর ভাটা কর্তৃপক্ষ গ্রামীণ সড়কটি ছোট বড় ইট ও শুরকি দিয়ে যাতায়াতের যোগ্য করে তুলেছেন। অত্র এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জা, শ্মশান বা করবস্থান কিমবা ঈদগাহ নির্মাণের জন্য দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন আঁখি ভাটা কর্তৃপক্ষ। ছোট পরিসরে আমতখালী বিলে আঁখি ভাটার যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে অত্র এলাকার শত শত অসহায় পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে ভাটা কর্তৃপক্ষ।
সরকারের সকল প্রকার সরকারি রাজস্ব প্রদান পূর্বক সঠিক মাপে ইট প্রস্তুত করে যাচ্ছে আঁখি ভাটা। স¤প্রতি আঁখি ভাটায় নদীর মাটি কর্তনের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
ভাটা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা ও জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগে যথাযথ রাজস্ব প্রদানের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন আঁখি ভাটা কর্তৃপক্ষ। যার কার্যক্রম চলমান। এক শ্রেণির কুচক্রী মহলের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মাঝে। যেখানে কিনা আঁখি ভাটা কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার সরকারি রাজস্ব প্রদান ও বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটি, সেখানে আঁখি ভাটার সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সাংবাদিকদের দিয়ে এহেন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
গ্রামকে শহর করার প্রত্যয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের তদারকির মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে চান আঁখি ভাটার পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল আজিজ। ডেভোলপমেন্টের পাশাপাশি তিনি একজন কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ায় এলাকার মৎস্য চাষীদের নিয়ে ব্যাপক হারে কাজ করে যাচ্ছেন। ডেভোলপমেন্ট ও মৎস্য চাষের মাধ্যমে অত্র এলাকাকে বেকার মুক্ত করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।