ফজলুল হক, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জের প্রকাশ্য জবর দখলের কারণে সড়কও জনপদ বিভাগের জায়গা সরকারি খাল সুশীলনের গ্রাসে হারিয়ে যেতে চলেছে দেখার কেউ নেই। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ-শ্যামনগর প্রধান সড়কের পাশের গাছ কেটে ও সরকারি খাল ভরাট করে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের বৃদ্ধ আঙুল দেখিয়ে দখল করে নিয়েছে সুশীলন এনজিও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। স্থানীয় জনসাধারণের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সরোজমিনে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে গিয়ে দেখা যায় কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পানি চলাচল খালের জায়গা দখল করে বেড়া দেওয়া হচ্ছে।
গত সোমবার দুপুরে কয়েকটি ডাম্পার ও একটি ভেকু দ্বারা মাটি ভরাটের মাধ্যমে দখল কার্যক্রম চালালেও উপজেলা প্রশাসনের ভ‚মিকা ছিল একেবারেই নীরব। বিষয়টি স্থানীয়রা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ দীপুকে অবগত করলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, সব বিষয় দেখার দায়িত্ব ইউএনওর না। আপনারা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান।
একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এধরণের বক্তব্যে বিস্মিত এলাকার সচেতন মহল। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গ্রাম -পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েও অবৈধ দখল কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি। পানি চলাচলের খাল ভরাট কাজ বন্ধ হবেনা বলে গ্রাম-পুলিশকে সাফ জানিয়ে দেন সুশীলন’র পরিচালক। বিষয়টি সুশীলনের পরিচালক আক্তারুজ্জামান পল্টুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওই জায়গা বন্দোবস্তের জন্য সাতক্ষীরা অফিসে আবেদন করা হয়েছে। বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে সরকারি জায়গা দখল করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করার বিষয় নিয়ে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছে টাকা ও ক্ষমতা থাকলে চলাচলের প্রধান সড়ক ও দখল করে নেওয়া যায় তাছাড়া টাকার জোরে ও সবকিছু করা সম্ভব।