সেলিম হায়দার : চলতি মৌসুমে আগাম জাতের শিম চাষ করে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হচ্ছেন তালা উপজেলার কৃষকরা। ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারায় কৃষকরা ভীষণ আনন্দিত। এ উপজেলায় মাটি ও আবহাওয়া আগাম শিম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছর বাড়তে শুরু করেছে আগাম শিম চাষির সংখ্যা।
নগরঘাটা ইউনিয়নের শিমচাষী মাসুদ হোসেন বলেন, আগাম শিম চাষ করে বেশ ভালো দাম পাচ্ছি। প্রতি কেজি শিম ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’ প্রায় একই কথা জানান গোপালপুরের চাষি গণি শেখও। তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কারিগরি সহায়তায় নিরাপদ পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদনে কেরালা জাতীয় শিমের চাষ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ঘেরের আইল এবং রাস্তার দুই পাশেও চোখে পড়ে শিমগাছের দীর্ঘ সারি। সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করছে শিমের শিষ। আর শিষে ধরে আছে বেগুনি ও হালকা সাদা ফুল। আর কিছু শিষে উঁকি দিচ্ছে তরতাজা শিম। উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি কর্মকর্তা নয়ন হোসেন জানান, উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে কেরালা জাতীয় শিমের চাষ করা হচ্ছে। আগাম শিম চাষ করে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
ব্যবসায়ী বাবু পাল জানান, এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মন শিম ক্রয়করে ঢাকার সাভার ও কাওরান বাজারে বিক্রয় করে থাকি, তাতে আমার ভালোই লাভ হয়। উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিযুস কান্তি পাল বলেন, আমরা মাঠপর্যায়ে আগাম বিভিন্ন সবজি চাষে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছি। হাইব্রিড জাতের আইটেক, কেরেলা এসব শিম কৃষকেরা আগাম চাষ করায় ভালো দাম পাচ্ছেন।
ঘেরের আইল এবং রাস্তার ধারে এগুলোর ফলনও ভালো হয়।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ করেছেন কৃষকেরা। তবে এর বাইরেও বেসরকারিভাবে বেশকিছু শিম চাষ করা হচ্ছে। বিশেষ করে তালা উপজেলার এ বছর বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড শিমের আগাম চাষ হয়েছে, যা থেকে কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।