বিলাল হোসেন, শ্যামনগর ব্যুরো : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের প্রধান সড়ক গুলো অবৈধ হল্লা গাড়ির দখলে! ডাম্পার গাড়ি মূলত কৃষি কাজে ব্যাবহার জন্যে সরকারি ভাবে অনুমোদন দিয়ে থাকে। কিন্তু কৃষি কাজে ব্যাবহার না করে। হল্লা গাড়ি গুলো ব্যাবহার করছে অন্য কাজে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রধান সড়ক গুলোতে মাটি, বালু বহনের কাজে ব্যাবহার করছে।
বিভিন্ন ইট ভাটায় মাটি যোগান দিতে ডাম্পার, মিনিট্রাক দ্বারা সরবরাহ করা মাটি পড়ে রাস্তায় চলাচলের বিঘœসৃষ্টি করছে। “ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রীন সাতক্ষীরা” বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের তৎপরতা চলমান! কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যে ডাম্পার গাড়ি ব্যাবহার করছে। হালকা বৃষ্টি হলেই উপজেলার সড়ক গুলো সহ গ্রামীন রাস্তাগুলো কাঁদামাটিতে ভরে যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়।
অধিকাংশ গাড়ি গুলোর চালকরা হচ্ছে ও অদক্ষ যে কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। উপজেলা প্রশাসনকে বার বার অবগতি করেও মিলছে কোন প্রতিকার। উপজেলার বিভিন্ন বিক্স ফিল্ডের সামনে, গোডাউন মোড় হতে নুরনগর বাজার পর্যন্ত, সোনারমোড় মৎস আড়ৎ সংলগ্ন, বংশীপুর কালভার্ট সংলগ্ন, মানিকখালী এ করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন, ভেটখালী বাজার সংলগ্ন, কৈখালী ব্রীজ হতে যাদবপুর বাজার, কৈখালী বিজিবি সড়ক, সহ বিভিন্ন স্থানে ইট ভাটার যোগানকৃত মাটি প্রধান সড়কে পড়ে থাকায় এ ধরনের মরণ ফাঁদ সৃষ্টি হয়ে দাড়িয়েছে।
পথচারী শেখ জহির উদ্দীন রানা সহ আরো অনেকে জানান , কিছু করার নাই। তারা চোখেও দেখে না, কানেও শোনে না। মরন চালান চালাই। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের সাধ্য পূরণের জন্য হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। এমন ঘটনা চলমান হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সমাজে এমন কার্যক্রম দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ইট ভাটায় মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তাটির এমন বেহাল দশা হয়েছে। ধুলাবালি ও কাঁদায় জনদূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে পথচারীরা। একদিকে রাস্তায় কাঁদা বালি ও ধুলা অন্যদিকে রাস্তটি গর্তে পরিণত হয়েছে।
মেইন সড়কটির বেহাল দশার কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীদের উপজেলা সদর হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে নিতেও অনেকটা সময়ক্ষেপন ও বেগ পেতে হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স ও রোগীর স্বজনদের। বাস ড্রাইভার শাহীন আলম উজ্জ্বল জানান, গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে হল্লা চলাচলে আমরা অতিষ্ঠ্য হয়ে পড়েছি। সারাবদ্ধ ভাবে রাস্তা দখল করে চলাচল করে। হর্ণ দিলেও গুরুত্ব দেই না। অনেক সময় তাদের খামখেয়ালির কারনো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম রাতুল বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় চলছে চাইলে তো আর বন্ধ করা যায় না। আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপনের মাধ্যমে মামলা দেওয়ার কথা হয়েছে। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জকে বলেছি মামলা নেওয়ার জন্য।