নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) শিশু সুরক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৯ মে বিকাল ৪ টায় সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে সাতক্ষীরা শিশু সুরক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শিশু সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক প্রফেসার আব্দুল হামিদ। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সাতক্ষীরায় টেরে টেরে ডেস হোমস (টিডিএইচ), নেদারল্যান্ডস এর অর্থায়নে স্টেপ আপ দি ফাইট এগেনষ্ট সেক্সচুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অব চিলড্রেন: এম্পাওয়ারিং চিলড্রেন এন্ড কমিউনিটিস্” প্রকল্পের আওতায় শিশু যৌন শোষন প্রতিরোধে শিশুদের ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
সভায় বক্তারা সুবিধাবঞ্চিত ও বিভিন্ন নির্যাতিত শিশুদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে এবং সাতক্ষীরা সদরকে একটি শিশু নির্যাতন মুক্ত উপজেলা তৈরীতে শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা একযোগে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রর প্রজেক্ট অফিসার মো: আজাহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর মোছা: নুরজাহান বেগম, স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, শিশু সুরক্ষা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর পবিত্র মোহন দাশ, আইনজীবি এ্যড: নাজমুন নাহার ও মোস্তফা আসাদুজ্জামান, ওসিসির প্রোগ্রাম অফিসার মো: আব্দুল হাই সিদ্দিক, জেলা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিবুর রহমান বাবলা, পলাশপোল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মোমিনুল ইসলাম, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্সের অফিস ইনচার্জ মো: শরিফুল ইসলাম, যুব নেতা মাসুদ রানা, আইন ও সালিশ কেন্দ্র সুফাসেক প্রকল্পের হিসাররক্ষক সোহরাব হোসেন, শিশু দলের সদস্য রাজ কুমার ও ইসরাত জাহান প্রমুখ। উক্ত সভায় প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট অফিসার আলী রাজ ও রাহিমা বেগম।
শিশু শোষন ও শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে শিশু সুরক্ষায় সরকারি ও বেসকারি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানান এবং শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে আলোচিত হয় এবং শিশু নির্যাতনের ঘটনা সনাক্ত করে প্রতিকার ও আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরে রেফার করার সিদ্ধান্ত হয়।
বক্তরা আরও বলেন, অনলাইন ও অফলাইনে শিশু নির্যাতন বেড়ে চলেছে। ২০২৩ সালে সারাদেশে শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৪৮৫টি। এছাড়া শিশু নির্যাতন ১ হাজার ১৩, অপহরণ ১৩, শিশু ধর্ষণ ৩১৪, ধর্ষণের পর হত্য ১৯, শিক্ষক দ্বারা যৌন নির্যাতন ৩০, পারিবারিক নির্যাতনের পর হত্যা ৫২ ও গৃহকর্মে নিয়োজিত সাতজন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অধিকাংশ মামলায় স্বাক্ষীর অভাবে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা যাচ্ছে। আইনের বিভিন্ন ফাক ফোকর দিয়ে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। নির্যাতিত শিশুর পরিবার বিভিন্ন সামাজিক কারণে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে বলতে চাননা বা অভিযোগ করেন না। আইন সম্পর্কে শিশু ও তার পরিবারকে সচেতনা বৃদ্ধি করতে পারলে শিশু নির্যাতন অনেক কমে আসবে।