শেখ মনিরুজ্জামান : তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ইসলামকাটি মৌজায় সরকারি ভিপি সম্পত্তি ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুরাতন দালান ও দুর্গা মন্দির অবৈধভাবে দখল করে আসছে তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের মৃত কেরামত আলী মোড়লের ছেলে কালাম মোড়ল (ভ্যান্ডার)।
ইসলামকাটি মৌজার যার এস এ খতিয়ান ১১০২ রেকর্ডিং মালিক হিন্দু স¤প্রদায়ের তপন কুমার, রতন কুমার, পিতা- নির্মল কুমার। হীরামতি, স্বামী-অন্নদা রেনু। অমল কুমার, কোমল কুমার, পিতা -রাজেন্দ্রনাথ। পিতবর চক্রবর্তী, পিতা-সুরেন্দ্রনাথ। সুবোল চক্রবর্তী, অনিল, পিতা – নগেন্দ্রনাথ। সুধীর কুমার, সুকুমার, মিহির কুমার, পিতা-খগেন্দ্রনাথ।
এ রেকর্ডিং মালিকগণ ১৯৪৮ সালে তাদের এই বাড়িঘর, সম্পত্তি ও দুর্গা মন্দির ফেলে রেখে ভারতে চলে যায়। তারপর থেকে কেরামত আলী মোড়ল ও তার ওয়ারিশগণ এই সম্পত্তি জোরপূর্ব ভোগ দখল করে আসছে। সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে দেখে এই বাড়ি ঘর, সম্পত্তি ও দুর্গা মন্দির কালাম মোড়লের দখলে। দুর্গা মন্দিরের উপরের ছাদ ভেঙে ফেলছে। তখন প্রশ্ন করলে বলে এই মন্দিরটি আমাদের দখলে। আমরা কি করব সেটা আপনাদের সাথে বলতে বাধ্য নয়।
৪ একর ৮৩ শতক জমির বাড়ি ও মন্দিরের কাগজ দেখতে চাইলে কালাম মোড়ল বলেন, আমার কাগজপত্র যা কিছু আছে তা সব কোর্টে জমা দেওয়া আছে, আমার কাছে কিছু নেই। তালা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নারায়ণ মজুমদার বলেন, সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তিনি তার বাড়িতে তার বাবা পার্বতী চক্রবর্তী মহাশয় থাকাকালীন সময় থেকে দুর্গা মন্দির স্থাপন করে দূর্গা পূজা করতেন। উনি ওনার বাড়িতে থাকা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
এই মন্দিরে নিয়মিত পূজা পার্বণ হতো তারপর তারা ভারতে চলে যায়। ইসলামকাটি ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা আব্দুল মুকিতের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উনি বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি এবং কালাম মোড়লকে বলে এসেছি আপনার কাগজপত্র নিয়ে আমার অফিসে আসেন। কিন্তু তার কোন জমির কাগজ না থাকায় আমাকে দেখাতে ব্যর্থ হয়। মন্দিরটি ভাঙতে মানা করে এসেছি। তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আরাফাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এস এ খতিয়ান ১১০২ এর সাবেক দাগ ৯৮২, ৯৮৪, ১০১৩,১০৩০, ৩১৩৫, ২৩৯২, ২৩৯৩, ২৩২৪ এর জমি সবই আমার ভিপি সম্পত্তির তালিকায় আছে। এই সম্পত্তির ভিতর একটি দূর্গা মন্দির আছে ও সেটা ভেঙে ফেলছে সেটা আমি তদন্ত করে দেখবো।