নিজস্ব প্রতিনিধি : আগামী ২৯ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪। নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০ টায় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিক বরাদ্দ উপলক্ষে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় খুলনা অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান নির্বাচন আচারণ বিধি সম্পর্কে প্রার্থীদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এবং আচারণ বিধি মেনে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালানোর দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। কোন প্রকারের মিছিল, শোডাউন করা যাবেনা।
আপনারা যদি পথ সভা করতে চান, তা হলে পুলিশের কাছে আবেদন করে অনুমতি নিতে হবে। নির্বাচনের অন্তত ৬৫ঘন্টা পূর্ব থেকে প্রচার কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনী পোষ্টারে কোন জাতীয় নেতার ছবি ব্যবহার করা যাবে না। শুধু প্রার্থীর ছবি এবং প্রতিক ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা যে পোষ্টার ছাপাবেন তার একটি কপি নির্বাচন অফিসে জমা দিবেন।
খুলনা অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১৫ মে বিকাল ৩টায় খুলনা শিল্পকলা একাডেমীতে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অবঃ) এর নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় সকল প্রার্থী উপস্থিত থাকবেন। তিনি আরো বলেন আমরা অবশ্যই নির্বাচনী আচারণ বিধি মেনে চলবো। কোন প্রকার আচারণ বিধি লঙ্ঘন হলে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। আচারণ বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা অথবা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া নির্বাচন শেষ হওয়ার সাথে সাথে বা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে নির্বাচনী ব্যয় রিটার্ণ জমা দিতে হবে। আলোচনা সভা শেষে খুলনা অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম শওকত হোসেন কে মটরসাইকেল প্রতিক, মোঃ গোলাম মোরশেদকে চিংড়ী মাছ প্রতিক, এ্যাড. শেখ তামিম হোসেন সোহাগ কে ঘোড়া প্রতিক এবং প্রভাষক এম সুশান্ত মন্ডলকে আনারস প্রতিক প্রদান করেন।
এদিকে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মারুফ তানভীর হুসাইন সুজন, ছাত্রলীগের আরেক সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, ইঞ্জিনিয়ার শামস ইশতিয়াক শোভন ও জাতীয় পার্টির মো: বদরুজ্জামান। রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনে শামস ইশতিয়াক ছাড়া বাকী তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ফলে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী ঘোষিত হয়েছেন শামস ইশতিয়াক। অপরদিকে সোনিয়া পারভীন শাপলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় সদ্য সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলামই বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছে।