বুধবার , ১৫ মে ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে আম কেনাবেচা

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মে ১৫, ২০২৪ ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ

এবার ৩০০ কোটি টাকার আম বিক্রির আশা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের

সকাল ডেস্ক : ভৌগলিক অবস্থাগত কারনে দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। এ কারনে উৎপাদনের শুরুতেই ব্যাপক চাহিদা থাকে সাতক্ষীরার আম। রাজধানী ঢাকা ও চট্রোগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারী ব্যবসায়ীরা আম সংগ্রহ করতে আসেন সাতক্ষীরাতে। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের বৃহৎ বানিজ্যিক মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের কাঁচামালের আড়তগুলোতে দেখা গেছে প্রচুর পরিমান আম কেনাবেচা হচ্ছে।

এসব আমের মধ্যে রয়েছে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই ও স্থানীয় বৈশাখী জাতের আম। তবে হিমসাগর, ন্যাংড়া ও আ¤্রপালি আরো ১৫ থেকে ২০ দিন পরে বাজারে উঠবে। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কেনাবেচা হবে বলে আশা করছেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিধপ্তর। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুখরালী গ্রামের আম ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম খোকা জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ৪৫ টি আম বাগান ক্রয় করেছেন।

এসব বাগানে হিমসাগর, ন্যাংড়া, আ¤্রপালী, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বৈশাখী ও বোম্বাইসহ অন্যান্য আম রয়েছে। ইতিমধ্যেই গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে তার আম কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এবছর গোবিন্দভোগ আম বিক্রি করেছেন পাইকারী প্রতি ৩ হাজার টাকা এবং গোপালভোগ ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা ভালো বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

তিনি বলেন, গেল বছর এ সময় যে গোবিন্দভোগ বিক্রি করেছিলে প্রতি মন ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং গোপালভোগ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সে হিসাবে এ বছর মন প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সুলতাপনুর বড় বাজারে আগত ঢাকার কাওরান বাজার এলাকার পাইকারী আম ব্যবসায়ী মোনায়েম সিদকার ও আব্বাস হাওলাদার জানান, প্রতি মৌসুমে সাতক্ষীরা থেকে ২০০ থেকে ২৫০ টন বিভিন্ন প্রজাতির ক্রয় করেন।

এসব আম তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। তারা বলেন, সাতক্ষীরার আম আগে পাকার কারনে চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়া যায়। গতকাল সুলতানপুর বড় বাজার থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা মন দরে ৬০ মন গোবিন্দভোগ আম ক্রয় করেছেন বলে জানান তারা। তবে হিমসাগর ও ন্যাংড়া আমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানান এ ব্যবসায়ীরা।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলাতে ৪ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছে। যার আনুমানিক উৎপাদন ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টন। তিনি বলেন, হিমসাগর, ন্যাংড়া, আ¤্রপালী, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, লতা, ফজলি, সিঁদুরমেঘ ও স্থানীয় বৈশাখীসহ বিভিন্ন প্রকার সুস্বাধু আম উৎপাদন হয় এ জেলায়।

তবে ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় আগে পাকে সাতক্ষীরার আম। ফলে চাহিদার পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে আনুমানিক ২৯০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার আম বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে গোবিন্দভোগ, গোপাল, বোম্বাই ও বৈশাখী আম ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। এর পর হিমসাগর, ন্যাংড়া ও আ¤্রপালী ভাঙতে আরো ১৫ থেকে ২০ সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

 

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত