অহিদুজ্জামান খান : বাংলাদেশের পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরার কৃষি বিজ্ঞানীদের বার্ষিক আঞ্চলিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা সাতক্ষীরার বিনেরপাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিনা ময়মনসিংহ’র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: সিদ্দিকুর রহমান। ভার্চুয়ালি বক্তব্য রেখে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশের পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনা’র মহা পরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
বিনার রাজস্ব খাতের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত আয়োজন সকাল থেকে বিকেল অবধি চলে। বৈজ্ঞানিকদের পরিকল্পনা কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পরিকল্পনার জন্য সংযুক্তি আলোচনা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ, বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক মো: শওকত ওসমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বরিশালের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু।
প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনা’র মহা পরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনাতে এবারই প্রথম তিন স্তর বিশিষ্ট গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। দেশে অঞ্চল ভিত্তিক কৃষি সমস্যা ও সংকট রয়েছে সাথে গবেষণাও রয়েছে। এগুলোর সমন্বয় ঘটবে এই গবেষণা পরিকল্পনা কার্যসূচির মধ্য দিয়ে। অঞ্চল ভিত্তিক সমস্যা সেই অনুযায়ী গবেষণা আর পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে অঞ্চলভিত্তিক সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব। যার মধ্যদিয়ে শুধু কৃষি নয় গোটা দেশ উপকৃত হবে।
পরিকল্পনা কর্মশালায় আলোচনা সহযোগী ছিলেন বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঝহারুল ইসলাম সুজন, বরিশাল উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুন নাহার প্রমুখ। কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধি ও কৃষক প্রতিনিধিরাও মতামত ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তব্যে বিনা ময়মনসিংহ’র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিনা এই পরিকল্পনা কর্মশালায় গৃহীত উপায় ও গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত যে সমস্যা উদ্ভব হচ্ছে সেখানে এই সব উপকেন্দ্র এবং তার বিজ্ঞানীদের চলমান প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। কৃষিতে উপক‚লের কঠিনতর পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে এই গবেষণা বিজ্ঞানীদের সমৃদ্ধ করবে।