শেখ সিদ্দিকুর রহমান : সাতক্ষীরা শহরের একমাত্র শিশু হাসপাতালটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে, দেখার যেন কেউ নেই। জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু হাসপাতালের চারপাশে ময়লা আর্বরজনা ফেলানো আছে পরিষ্কার করার মতো কেউ নাই। তাছাড়া আরো দেখা যায় সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের সামনে একটি রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক এটা যেন মরনের ফাঁদ পরিণত হয়েছে। সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের এক কর্মচারি বলেন, সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালটি পরিচালনা করার মতো দক্ষ কেউ নাই, হাসপাতালের চারিদিকে ময়লা আবর্জনা ফেলছে।
বাগানে পানি জমেছে, এতে ডেঙ্গু মশা জন্ম নিচ্ছে হাসপাতালে শিশুরা চিকিৎসা নিতে এসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালের ভিতর দিয়ে একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা ছিলো অনেক দেরিতে হলেও ঢালায় রাস্তা তৈরি হয়েছে। ঢালাই রাস্তার পাশে জরাজীর্ণ সেই ইটের সোলিং রাস্তাটি রয়ে গেছে সেটা এখন মানুষের মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোথাও ইট আছে আবার কোথাও মাটি বাহির হয়ে গেছে।
মেইন সড়ক হতে ওই রাস্তায় নেমে শিশু হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনতিবিলম্বে এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডাঃ অসিত স্বর্ণকারের কাছে কয়েক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসসুত্রে জানা গেছে বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২৫০ শয্যা রয়েছে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগ রয়েছে কিন্তু সাতক্ষীরার একমাত্র নির্ভরযোগ্য শিশু হাসপাতালটিতে পরিচালনা কমিটি থাকলেও এর কার্যক্রম আর্থিক কারণে স্থবির হয়ে আছে। সেখানে শিশুদের জন্য নেই কোন পর্যাপ্ত বরাদ্দ।
জরাজীর্ণ রাস্তার বিষয় সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক জামান খান জানান, রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ এ জন্য অতিদ্রæত রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।