লিংকন আসলাম, আশাশুনি প্রতিনিধি :আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল টানা তিন দিনে ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে। ফলে সবজির ক্ষেত, বীজতলা, পুকুর, খালবিল, ডোবা ও মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ৩/৪ দিন একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের সুব্যবস্থার অভাবে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল সম্পূর্ণ ভাবে প্লাবিত হয়েছে।
ফলে সবজির ক্ষেত, বীজতলা, পুকুর, খালবিল, ডোবা ও মৎস্য ঘের তলিয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নের ফটিকখালী, খালিয়া ও রাউতাগার বিলে এখন কোমর পানি। স্থানীয় ছোট বড় পুকুর পানিতে ভেসে গেছে। কেউ কেউ নেট দিয়ে মাছ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক কৃষকরা তলিয়ে যাওয়া আমন ধানের বীজতলার দিকে অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে। খালিয়া, গজুয়াকাটি, খাজরাসহ কয়েকটি এলাকায় মানুষের বাড়ির ঊঠানে পানি আর পানি। ৫৮নং খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থৈ থৈ করছে পানি। সবজির ক্ষেতে পানি জমে থাকায় সবজি গাছ পঁচে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এবার শ্রাবণ মাসে তিন দিনে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে। এক দিকে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ, অন্যদিকে ভারী বর্ষণ। সব মিলে এলাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। কৃষক দিপক সানা জানান, দূর্গা বিলে আমার আমন ধানের বীজতলা তৈরী করেছি। বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হওয়ায় পানি ভরা জমির মধ্যে ধান ফেলেছি। যদি দু-চার দিনের মধ্যে পানি কমে তাহলে হয়তো ক্ষতি কিছুটা কম হবে।খাজরা গ্রামের সুনিত ঘোষ অভিযোগ করে জানান, আমাদের বাড়ির উঠানে পানি।
স্থানীয় মৎস্য ঘেরের গেট গুলোতে ভাটার পানি ঠিকমত না সরানোর ফলে পানি সহসাই কমছে না। পরে বিকালের ভাটায় স্থানীয়দের সহায়তায় ব্যক্তিগত গেটের পাট তুলে ভাটার ব্যবস্থা করা হয়। পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থার অভাবে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। দ্রুত পানি নিঃষ্কাশনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
##