শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মীরগাং দিঘির পার্শ্ববর্তী রাস্তা জেলা পরিষদ রাস্তার ইট বিক্রি সহ দিঘিটি ১৪ বছর জবরদখল করে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে কর্মরত থাকা ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদর কর্মরত থাকা নাজমুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মীরগ্রাম গ্রামের মৃত আতিয়ার গাজীর ছেলে।
সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মিরগাংদিঘী এলাকার সাধারণ মানুষের একমাত্র চলাচলের জন্য ইটের রাস্তাটি অনপযোগী হয়ে পড়লে। ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে রাস্তা মেরামতের আসলে জানতে পারে স্থানীয় রঞ্জনা বেগমের বাড়িতে সরকারি ইট লুকিয়ে রাখা আছে। এরপর ইট বিক্রয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
মীরগাং গ্রামের বাবলুর রহমান জানান, জেলা পরিষদের দিঘির নতুন রাস্তা হওয়ার আগে আতিয়ার রহমানে দুই ছেলে জেলা পরিষদে চাকরি করে। সেই প্রভাব দেখিয়ে ৮ হাজারের মতো পুরাতন ইট তুলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে বিক্রি করে দিছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নাম ভাঙিয়ে আপন ২ ভাই নাজমুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন, জেলা পরিষদ সরকারের একটি রাস্তার ইট বাড়িতে নিয়ে বিক্রি, জেলা পরিষদের দিঘি ২০০৮ সাল থেকে ২২ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর ধরে জবরদখল করে রেখেছিল। এরপর স্থানীয়দের নিয়ে ২০২৩ সাল থেকে নতুন করে ইজারা নেই।
এ ব্যাপারে রনজিনা বেগম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা সরকারি রাস্তার ইট দামে কম হয়। নাজমুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন বাবার নিকট হইতে ২ দু’বছর আগে কিনেছিলাম। প্রতি হাজার ইট ৬০০০ টাকা দাম ধরে কিনেছি।
হুসনেয়ারা বেগম জানান, নাজমুল হোসেন ও মোশারফ হোসেনের নিকট থেকে ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে সরকারি জমি কিনে বসত বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতেছি। অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন জানান, যে ইট গুলো বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। ওইগুলো আমার বাবা জেলা পরিষদের রাস্তার বরাদ্দ আসার আগে নিজের টাকা দিয়ে কিনে রাস্তা করছিল। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তার বরাদ্দ আসার পরে আমার বাবার সেই ইটগুলো উঠিয়ে নেয়। তবে সেই গুলো বিক্রি করেছে কিনা আমি সঠিক বলতে পারছি না।
জেনে শুনে তারপর বলব। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাশ বলেন, জেলা পরিষদের সাথে কথা বলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। অপরাধী যেই হোক আইনীর আওতায় আনা হবে।